ইয়াসিন আরাফাত : [২] মেডিকেল হিস্ট্রি অফ ভুটান বই থেকে জানা যায়, ১৯৪৯ সালে ড্রাগনভূমি ভুটানের সিঙ্গেয়ার গ্রামে দেখা দিয়েছিল প্রাণঘাতী এক ছোঁয়াচে রোগ। মনে করা হয়, গুটি বসন্ত ছড়াতে শুরু করেছিল।সে সময় দেশটিতে ছিলোনা কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কিংবা মেডিকেল কর্মী। ওই অজানা রোগের কোন প্রতিষেধকও পাওয়া যাচ্ছিলনা।সে সময় আইসোলেশন বা গণ পৃথকীকরণ করেই মহামারির হাত থেকে রক্ষা পায় ড্রাগনভূমি ভুটান। কিন্তু দুনিয়া এই ঘটনা তেমন ভাবে জানতে পারেনি।কোলকাতা ২৪
[৩] জানা যায় প্রাণঘাতী ওই মহামারির হাত থেকে দেশ কে রক্ষা করতে উপায় না পেয়ে ভুটানের দ্বিতীয় রাজা জিগমে ওয়াংচুক একটি আস্ত গ্রামকেই কোয়ারেন্টাইন করে দিয়েছিলেন। রাজা্র কড়া নির্দেশে সেই গ্রামে বাইরের কারোর যাওয়ার ক্ষেত্রে ছিল কড়া নিষেধাজ্ঞা়। কোয়ারেন্টাইনে থাকা গ্রামবাসীদের জন্য খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নির্দিষ্ট স্থানে রেখে আসা হত।
[৪] সে সময় দুই বার্তাবাহক নিয়ম করে এই কোয়ারেন্টাইন গ্রাম সম্পর্কে রাজার কাছে নিয়মিত তথ্য দিতেন। নির্দিষ্ট নিরাপদ দূরত্ব রেখে তথ্য সংগ্রহ করা হতো। সেই তথ্যের ভিত্তিতে রাজা প্রতি মাসে পাঠাতেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী যা গ্রামের বাইরে রেখে আসা হতো। পরে রোগাক্রান্তরা সেসব নিয়ে যেতেন। এই পদ্ধতিতেই ভুটানে মহামারির প্রকোপ থেকে রক্ষা করেছিলেন রাজা জিগমে ওয়াংচুক।
[৫] ১৯৪৯ এর এই ঘটনা আজকের কোয়ারেন্টাইন শব্দের অতীত ছায়া বলেই মনে করছেন কিছু বিশেষজ্ঞ।