সুজন কৈরী : [২] আটক ৪জন হলেন- মূল হোতা মো. সাদমান আকিব হৃদয় (২০), তার অন্যতম সহযোগী মো. সোহেল (২০), মো. অপু মোল্লা (১৯) ও মো. মনিরুল ইসলাম (২৬)। শনিবার রাতে পিবিআইর যশোর ইউনিটের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
[৩] পিবিআইর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসআইএন্ডও) রীমা সুলতানা বলেন, গণমাধ্যমে প্রচারিত বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার বেশ কয়েকটি খবর পাওয়ার পর পিবিআই যশোর জেলা প্রতারকদের সনাক্তের চেষ্টা শুরু করে। প্রতারিত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কৌশল এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। এরপর এক মাস ধরে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষন করে ওই চারজনকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে ১২টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন অপারেটরের ২১টি সিম, টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বরের রেজিষ্টার, টাকা উত্তোলনের রেজিষ্টার এবং নগদ আড়াই হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
[৪] পিবিআইর যশোর ইউনিটের ইনচার্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আটককরা ৩টি গ্রæপে ভাগ হয়ে কাজ করে। প্রথমে গ্রæপটি বিভিন্ন বিকাশের দোকান থেকে মোবাইল দিয়ে কৌশলে বিকাশের রেজিষ্টারের পাতার ছবি তুলার পর গ্রæপের কাছে পাঠায়। ২য় গ্রæপটি বিকাশের মূল কার্যালয়ের অপারেটর/কর্মকর্তা সেজে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো অর্থের প্রাপক/গ্রাহককে ফোন করে। ফোনে তারা গ্রাহককে জানান, টেকনিক্যাল কারণে টাকা ক্যাশ আউট হবে না। আভ্যন্তরীণ কোড ভুল রয়েছে। যা ঠিক করে ক্যাশ আউট করতে হবে। এজন্য গ্রাহকের পিন কোড ও ভ্যারিফিকেশন কোড পাঠাতে বলে। গ্রাহক সরল বিশ্বাসে তথ্য সরবরাহ করে। চক্রটি বিকাশ অ্যাপে ঢুকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত তাদের নির্ধারিত বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দেয়। সর্বশেষ তৃতীয় ধাপের প্রতারক গ্রæপ বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে ওই টাকা উত্তোলন করে।
[৫] পিবিআইর কর্মকতা জাহাঙ্গীর হোসেন আরও জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিকাশ এজেন্টরা কখনো বুঝে কখনো না বুঝে প্রতারণায় সহযোগিতা করেন। প্রতারণার কাজে জড়িতদের মধ্যে অধিকাংশই মাগুরা, নড়াইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, রাজশাহী ও যশোর জেলার অধিবাসী।
[৬] চক্রের অন্য সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় যশোরের কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।