সমীরণ রায়: [২] বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার ৩ মাস নষ্ট হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি পরীক্ষাগার ছাড়া কোথাও করোনাভাইরাস সনাক্তকরণের ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ফলে ঢাকাতে করোনাভাইরাস সনাক্তকরণে ব্যস্ত থাকলেও লোক মারা গেছে সিলেটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে পরীক্ষার উপরে জোর দিচ্ছেন সেখানে এখনও আমরা কিট আনার কথা বলছি। চিকিৎসা স্বাস্থ্য কর্মীদের কোনো প্রতিরোধমূলক পোশাক না থাকায় তারা এমনই আতংকিত যে, সাধারণ রোগীরাও সেবা পাচ্ছে না। সেই পোশাক এখনও আনা হচ্ছে। করোনাভাইরাস সনাক্তকরণে বেসরকারি হাসপাতালগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কেনো তাদের এগিয়ে আসার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে না কেন? তাও বোধগোম্য নয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেবল জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন করছেন, এতে জনগণ হতাশই নয়, বিরক্তও।
[৩] তিনি বলেন, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের খাদ্য ও ঔষধপত্র পৌঁছে দিচ্ছে। যুক্তরাজ্য কর্মীদের বেতনের আশি ভাগ সরকার বহন করবে বলে বলছে। সেখানে আমাদের দেশে শ্রমঘন গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের জন্য সরকার ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করছি। এবং এই সক্ষমতাও আমাদের আছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে। করোনা মহামারীর এই জনযুদ্ধ মোকাবেলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে চীন ও কিউবার সাহায্যের জন্য আহ্বান জানান তিনি।
[৪] রোববার রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ মেহেরবা প্লাজায় অবস্থিত ওয়ার্কার্স পার্টির ‘পার্টি স্কুল’ কার্যালয়ে যুব মৈত্রী ও ছাত্র মৈত্রীর যৌথ উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিট্যাইজার প্রস্তুতকরার কর্মসূচি উদ্বোধনী শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টি বরিশাল, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় নিজ উদ্যোগে করোনা সংক্রান্ত প্রতিরোধে লিফলেট, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিট্যাইজার বিতরণ করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :