শরীফ শাওন: [২] বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কোয়ারেন্টাইন সময়ে কারখানা বন্ধের পাশাপাশি শ্রমিকদের চলতি মাসের মজুরি, যাতায়াত ভাতাসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
[৩] বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ রাজনৈতিক ও ধর্মী সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও প্রতিটি কারখানায় হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করেন, জনসমাগমে করোনা আক্রান্তে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এছাড়াও কারখানাগুলোতে সচেতনতামূক কোন সরাঞ্জাম নিশ্চিত করা হয়নি।
[৪] বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা আতঙ্কে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, খাদ্য ও পরিবহনের ব্যায় বৃদ্ধিতে তারা যেন বিপর্যয়ে না পড়েন, এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে স্বল্পসুদে ঋণ, আর্থিক সহায়তা ও নিরাপত্তা দিতে আহ্বান জানানো হয়।
[৫] এসময় উপস্থিত নেতাদের মাঝে ছিলেন, সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাস নাইন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। তারা বলেন, কারখানা বন্ধ করলে আপাতত অর্থনীতির উপর চাপ পড়লেও ভবিষ্যতের বিপদ দূর হবে।
[৬] করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খালি করা হয়েছে। রাজনৈতিক ও ধর্মী সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় মানুষজনের আনাগোনা কমে গেছে।