শাহানুজ্জামান টিটু : [২] বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের ক্ষমাহীন উদাসীনতা ও প্রাক-প্রস্তুতিহীনতার কারণে একটা বড় ধরনের বিপদ আমাদের সামনে ধেয়ে আসছে। ক্রমশ: ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে দেশ। দেশজুড়ে মানুষের মধ্যে চরম আতংক-উদ্বেগ। গত ৮ মার্চ থেকে প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতোমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে, আর গতকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা সরকারী হিসাবে ২০জন।
[৩] বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ভাইরাসে সংক্রামকদের চিকিৎসায় বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্ধারণ, সংক্রামক শনাক্তকরণসহ চিকিৎসক-নার্সদের প্রয়োজনীয় পোশাক (পিপিই) ও যন্ত্রপাতি কোন কিছুই সরকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। ঢাকার বাইরে কোন হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত বা আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের থাকা-খাওয়া এবং আসবাবপত্র নেই। চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় পোশাক ও ওষুধ। সেন্টারে নেই খাট, বেডসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র।
[৪] রিজভী বলেন, সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো, দেশের মধ্যে যাদের করোনা হয়েছে, তারা কোন হাসপাতালে ভর্তি হলেও কোনো চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এমনকি জানতেও পারছেন না যে, এটা করোনাভাইরাস, না অন্যকিছু! কারণ করোনার টেষ্ট করার জন্য বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে হাজার হাজার ব্লাড স্যাম্পল গেছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরে। কিন্তু তাদের কাছে কোনো টেষ্টিং কীট নেই।
[৫] তিনি বলেন, যে ১ হাজার ৭ শত টেষ্টিং কীট ছিল তার মধ্যে অনেকগুলো খরচ হয়ে গেছে এয়ারপোর্টে নাটক করতে। বাকী যে কয়টা আছে, তা দিয়ে কি এমন হবে। হটলাইনের নামে এখন চলছে আইওয়াশ। রোগতত্ত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনষ্টিটিউট বা আইইডিসিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, গড়ে প্রতিদিন মাত্র ১৫-২০ জনের পরীক্ষা হচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ সন্দেহে এপর্যন্ত মাত্র তিন শতাধিক জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
[৬] রিজভী বলেন, অথচ সরকারের মন্ত্রীরা এতদিন ধরে বলে আসছিলেন, করোনা প্রতিরোধে উন্নত দেশের চেয়ে ভালো ব্যবস্থা আছে বাংলাদেশে। কয়েকদিন আগে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ গোয়েবলসীয় কায়দায় বলেছিলেন, করোনা নাকি বিএনপির অপপ্রচার। গতকাল ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, ‘করোনা নিয়ে আতঙ্কের মতো পরিস্থিতি হয়নি, করোনার চেয়েও আমরা শক্তিশালী’। এই সমস্ত কথাবার্তা বৈশি^ক বিপদের মুখে মানুষের সঙ্গে মশকরা করার সামিল।
[৭] শনিবার রাজধানীর নয়াপ্লটনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন রিজভী