সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে। বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে তাদের আটক করতে হবে। এ ব্যাপারে কোন উদারতা ও দয়া-মায়া দেখানো যাবে না।
[৩] তিনি বলেন, সারাবিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস আতঙ্ক দেশকে আঘাত করেছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। এই প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। দেশে পর্যাপ্ত করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট নেই। এ কারণে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়নি। ঢাকার আইইডিসিআর-এই একটি জায়গায় রোগ শনাক্ত করার কেন্দ্র আছে। রোগ শনাক্তকরণ কেন্দ্র আরো কয়েকটি করতে হবে। কিটও বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে পাঠাতে হবে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারি ও অভিজ্ঞ বেসরকারি ডাক্তারদের কাজে লাগাতে হবে।
[৪] নাসিম আরও বলেন, দেশে পর্যাপ্ত পিপিই না থাকার কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ডাক্তাররা। আমি মনে করি, অবিলম্বে প্রয়োজনে বিশেষ বিমানে করে চীন, ভিয়েতনামসহ যেসব দেশে স্বাস্থ্য উপকরণ আছে সেসব দেশ থেকে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, অর্থের কোন সমস্যা হবে না, সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি উদ্যোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় দ্রুত কিট ও পিপিই আনা উচিত। এক্ষেত্রে সময়ক্ষেপনের সুযোগ নেই। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে। একই সঙ্গে এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যেখানে প্রয়োজন সেখানেই লকডাউন করতে হবে।
[৫] বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।