শাহনেওয়াজ নাজিম, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: [২] খিরাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা ৮টি বসতবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।
[৩] ঘটনাস্থলে থাকা ইউপি সদস্য নাঈম জানান, বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বাড়ীর মসজিদের সামনে ইউপি সদস্য নাঈমের সাথে কথা বলছিলেন, এসময় ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যান উপর অতর্কিতভাবে হামলার এক পর্যায়ে গুলি করে। এসময় চেয়ারম্যান সোহরাব দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ীতে ঢুকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে সেখানেও দুর্বৃত্তরা চেয়ারম্যানকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।
[৪] গুলিবিদ্ধ চেয়ারম্যানকে প্রথমে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
[৫] চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত ইউপি চেয়ারম্যানকে হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন।
[৬] ক্ষতিগ্রস্ত শহিদুল আলম জানান, তিনি কোনভাবেই ঐ ঘটনার সাথে জড়িত নন। নির্বাচনে চেয়ারম্যানের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বলে তার ঘর পোড়ানো হয়েছে।
[৭] এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
[৮] হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, বুধবার রাতের ঘটনায় আইনগত দিক থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনার পরপরই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।
[৯] ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদুল আরেফিন বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয়কে গুলি করার কারণে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আমরা বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা:তিমির চক্রবর্ত্তী