কক্সবাজার প্রতিনিধি :[২] কক্সবাজারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চরিত্র হনন করে আত্মগোপনের কল্পিত ইতিহাস প্রচার বন্ধ করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ অন লাইন এক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ) কক্সবাজার জেলা শাখার নেতাকর্মীরা। সোমবার (১৬মার্চ) বিকেল চারটায় কক্সবাজার পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের জেলা শাখার আহবায়ক সাংবাদিক ওয়াহিদুর রহমান রুবেল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “১৯৫৮ সালে সেপ্টম্বর মাসে শেষের দিকে ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলীর মর্মান্তিক মৃত্যুকে পুঁজি করে ইস্কান্দর মির্জা ৭ অক্টোবর দেশে সামরিক শাসন জারি করেন। মাত্র চারদিনের মাথায় ১২ অক্টোবর শেখ মুজিবকে আটক করা হয়। এ সময় তাকে দেড় বছর বিনা বিচারে আটক রাখে। কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ৬টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। অথচ ঐ সময়ে শেখ মুজিবুর রহমান কক্সবাজারের ইনানী চেংছড়িতে পালিয়ে আত্মগোপনে এসেছিলেন বলে অপ-প্রচার চালানো হয়। ভিত্তিহীন উক্ত গল্পের উপর ভর করে একটি স্মৃতি জাদুঘর স্থাপন করা হচ্ছে উক্ত স্থানে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বঙ্গবন্ধুর আপোষহীন চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ করতে ২০০৯ সাল থেকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ও কাল্পনিক ইতিহাস প্রচার করা হয়। যে তথ্যের সাথে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের কোন মিল নেই। আমরা চাই জাতির শ্রেষ্ট সন্তান বঙ্গবন্ধুর নামে সব ধরনের অপপ্রচার ও মিথ্যাচার বন্ধ করতে হবে। লিখিত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, ‘১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারির পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়, তবে কিভাবে পালিয়ে আসেন চেংছড়িতে ? মূলত বঙ্গবন্ধুকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার করেছেন একটি। ছকিনা বেগমের পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ছকিনাকে প্রলোভন দিখিয়ে মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করিয়েছেন তারা। অথচ ছকিনার ভাই এবং বাবাকে রাজাকার বলতেন কোন কোন প্রমাণ ছাড়া। ‘কাল্পনিক ইতিহাসের তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রচারিত সব ধরনের মিথ্যা, কাল্পনিক ইতিহাস প্রচার বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় আদালতে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়।