শরীফ শাওন : [২] রাজধানীর স্কুলগুলোতে দেখা যায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি। সন্তানদের নিরাপত্তার স্বার্থে অভিবাকরা তাদের বিদ্যালয়ে যেতে দিচ্ছেন না। প্রতিষ্ঠান থেকেও কোন ধরনের চাপ নেই।
[৩] মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষকরা জানান, স্বাভাবিক সময় ছাত্র-ছাত্রীর অনুপস্থিতির হার ৯৫ শতাংশ। বেতন পরিশোধের নির্ধারিত দিন হওয়ায় আজ তাদের সংখ্যা একটু বেশি। দেখা যায়, প্রতিটি ক্লাসে ৭১ জন করে শিক্ষার্থীর মাঝে উপস্থিত ১৫ থেকে ৩০ জন।
[৪] সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে দেখা যায় ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত। তবে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুপস্থিত ৬০ শতাংশের বেশি। সূত্র: জাগো নিউজ
[৫] শিক্ষার্থী রাহাত বলেন, বাবা-মা নিষেধ করেছেন, তবে সিলেবাস থেকে যেন পিছিয়ে না পড়ি, সে কারণে দু-একদিন পরপর স্কুলে আসি। ভয়ে ভয়ে আসতে হয়, জরুরিভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা উচিত।
[৬] বেতন দিতে আসা অভিভাবকরা বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই এক সপ্তাহ থেকে স্কুলে আসতে দিচ্ছি না। বিশ্বজুড়ে করোনার মহামারি এখন আমাদের দেশেও এসেছে।
[৭] তারা বলেন, সরকার এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছে। সন্তানরা করোনায় আক্রান্ত হলে তার দায়ভার কে নেবে? তাই নিজ থেকেই বিদ্যালয়ে আসতে দিচ্ছি না।
[৮] শিক্ষকরা জানান, বাংলাদেশে করেনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি কমে গেছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে বাধ্য করা হচ্ছে না।
[৯] মাউশির পরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো পরিস্থিতি না হওয়ায় এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে সর্তকতা ও সংক্রমণ এড়াতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করেছি।
[১০] গোলাম ফারুক বলেন, স্কুলে না পাঠানোর স্বাধীনতা অভিভাবকদের রয়েছে। তবে অনুপস্থিতির কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
[১১] তিনি বলেন, নিয়মিত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করছি, পরিস্থিতি খারাপ হলে, আলোচনা করে সকল স্কুল-কলেজ বন্ধের ঘোষণা করা হবে।