সাইফুর রহমান : [২] কোভিড-১৯ সঙ্কটে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ায় এর অর্থনীতিও সঙ্কটের মুখে পড়বে বলে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জরিপে বলা হয়, এর প্রভাবে জরুরি প্রয়োজনে মাসে অন্তত ৪০০ মার্কিন ডলার ব্যয়ে অসমর্থ ৪০ শতাংশ বাসিন্দাই বিব্রতকর অবস্থায় পড়বেন। এবিসি নিউজ, ইয়ন, সিএনএন
[৩] যাদের ২৭ শতাংশ ধারদেনা কিংবা কিছু বিক্রির মাধ্যমে সাময়িক প্রয়োজন মেটাতে কিছুটা সক্ষম হলেও ১২ শতাংশ একেবারেই অক্ষম।
[৪] শুক্রবার মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি জানান, চলমান সঙ্কট মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের ত্রাণ সহায়তা দিতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ডেমোক্রেটরা। এতে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বেতনসহ ছুটি, আপদকালীন পারিবারিক ছুটিসহ আনএমপ্লয়মেন্ট ইন্সুরেন্সের মতো বিষয়গুলো।
[৫] কোভিড-১৯ সঙ্কটে পার্লামেন্টে ‘ফ্যামিলি ফার্ষ্ট করোনাভাইরাস রেসপন্স’ নামে একটি আইন পাস করার বিষয়েও তারা সমঝোতায় পৌঁছেছেন বলে জানান পেলোসি। এর আওতায় তারা দরিদ্রদের জন্য খাদ্য, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, স্কুল শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে খাদ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হবেন বলেও জানান তিনি।
[৬] উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত অন্তত ২ হাজার ৫১৩ জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পাশাপাশি মারা গেছেন অর্ধশত মানুষ। এছাড়া বিশ্বের ১৪৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৮ জন আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছেন ৫ হাজার ৪২৩ জন।