জিয়া হাসান: ভুটানের মতো দেশ দুইজন করোনাভাইরাসের রোগী চিহ্নিত হওয়ার পরে তাদের কন্টাক্ট ট্রেসিং করে তারা কোথায় কোথায় গিয়েছে, কোন কোন হোটেলে খেয়েছে, কোন গাড়িতে চড়ে এসেছে, ড্রাইভার কে ছিলো, কোন প্লেনে করে এসেছে, কোন হোটেলে থেকেছে, কোন রিসিপশনিস্টের সঙ্গে কথা বলেছে তাদের সম্ভাব্য সব কন্টাক্ট ট্রেসিং করে তাদের পৃথকীকরণ এবং টেস্টিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার শুধু তিনজন রোগী ধরা পড়েছে, তারা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে এটা বলেই খালাস। তারা কোন প্লেনে করে এসেছে, কোথায় কোথায় গিয়েছে, এই নিয়ে কোনো ধরনের ইনফরমেশন সরকার প্রকাশ করেনি এবং পত্রিকা মারফত দেখা যাচ্ছে ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পরও তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়নি।
এটা একটা ভয়াবহ ইরেস্পন্সিবিলিটি। পৃথিবীর কোনো দেশ এ রকম অদক্ষতা, অযোগ্যতা এবং বিকারহীন অবহেলার মাধ্যমে করোনা রোগকে মোকাবেলা করে তাদের জনপদকে এভাবে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেনি। করোনায় মৃত্যুর হার বেশি নয়, গরম আসলে করোনা এমনি এমনি শেষ হয়ে যাবে এই দুটি যুক্তি সরকারের অকর্মন্যতার সবচেয়ে বড় ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠিক এই কাজটিই ইরান সরকারও করেছে এবং ইরানে বর্তমান বিশ্বের সর্বোচ্চ মৃত্যুর হার। চীন করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে, কিন্তু ইরানের সংক্রমণ প্রতিদিন ছড়াচ্ছে। প্রতিদিন মৃত্যুর পরিমাণ বাড়ছে এবং গবেষকরা গবেষণা করে দেখাচ্ছেন ইরান সরকারের কথিত মৃত্যুর হার থেকে অনেক বেশি লোক ইরানে মারা যাচ্ছে। পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, চায়না বা ভুটান নয় বাংলাদেশ ইরানের পথ ধরে এগোচ্ছে। যে কয়জন করোনাভাইরাসের রোগী ধরা পড়েছে তাদের সংস্পর্শের কারণে বাংলাদেশের পথে-ঘাটে করোনাভাইরাসের বিস্তার লাভ করেছে কিনা আমরা জানতে পারছি না। কারণ আমাদের টেস্টিং কিটই নেই। এই মুহূর্তে এটা একটা জলজ্যান্ত সম্ভাবনা। ফেসবুক থেকে