আসিফ কাজল : [২] এবছর সারাদেশে জানুয়ারিতে ৩৮৩টি সড়ক দুঘটনায় ৪২৪ ও ফেব্রুয়ারিতে ৩৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৮৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
[৩] গতবছর সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ও দুর্ঘটনা কমাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে ওই বছর ১৬ অক্টোবর টাস্কফোর্সের কমিটি গঠন করে গেজেট প্রকাশ করে মন্ত্রী পরিষদ। অপরদিকে ১ নভেম্বর থেকে সড়ক আইন কার্যকর হলেও বিধিমালা না থাকায় তা প্রয়োগে বিআরটিএ ও পুলিশের মধ্যে সংশয় দেখা দেয়। তবে বিধিমালা পাস হওয়ায় চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে ট্রাফিক পুলিশ মামলা দেয়া শুরু করে।
[৪] এ প্রসঙ্গে লালবাগে কর্মরত সার্জেন্ট সুব্রত বলেন, এখন শুধুমাত্র হেলমেট ও অতিরিক্ত আরোহীর জন্য সর্বনিম্ন জরিমানা করে মামলা দেয়া হচ্ছে। এবং সকর্ত করা হচ্ছে।
[৫] এ সম্পর্কে এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের গবেষক সাইফুদ্দিন নাওয়াজ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করতে মানুষের সচেতনতার পাশাপাশি দরকার সংশ্লিষ্টদের কঠোর নজরদারি। এজন্য প্রকৌশলগত কার্যক্রম বৃদ্ধি, সড়ক পরিদর্শন, ব্যবস্থাপনা ও সড়ক আইন বাস্তবায়ন করা জরুরি। সর্বোপরি ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতি করা উচিত। তবে আইন প্রয়োগ করার দায়িত বিআরটিএ ও পুলিশের বলে তিনি জানান।
[৬] ট্রাফিকের যুগ্ন কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ মোটরযান আইনের প্রয়োগ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করা হবে। চলতি মাসেই পশ মেশিনে সফটওয়ারের মাধ্যমে মামলা দেয়া শুরু হয়েছে। তিনি জানান, আইনের প্রয়োগ বাড়লে সড়ক সুশৃংখল হবে। তখন দুর্ঘটনার সংখ্যাও কমে আসবে।