রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: [২] উপজেলার সকল ভিক্ষুকদের পূর্ণবাসনের লক্ষে মাননীয় জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ নিজ হাতে ছাগল, নগদ অর্থ, শাড়ী, সেলাই মেশিন, টিন সহ নানা সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন।
[৩] এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবিব জিতু, পৌর মেয়র জাফর আলী খানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন, এখন থেকে ভিক্ষুক দেখলে নিরুসাহীত করে বিকল্প কাজে উৎসাহীত করার অনুরোধ জানান।
[৪] জেলা প্রশাসক বলেন, ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান প্রাচীন কাল থেকেই মানব সমাজে ভিক্ষাবৃত্তি চলে আসছে। উপমহাদেশেও এর ইতিহাস দীর্ঘ দিনের। বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলের শোষণ, বঞ্চনা এবং নদী ভাঙ্গন, দারিদ্র, রোগ-ব্যাধি, অশিক্ষা ইত্যাদি কারণে ভিক্ষাবৃত্তির ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে।
[৫] তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে কিছু মানুষের কর্ম বিমুখতা এবং একদল স্বার্থন্বেষী মহলের অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ভিক্ষাবৃত্তি একটি সামাজিক ব্যাধি। এটি স্বীকৃত কোন পেশা নয়। বর্তমানে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে। স্বল্পোন্নত দেশের অবস্থান থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণ ঘটেছে। ভিক্ষাবৃত্তির লজ্জা থেকে দেশকে মুক্ত করার সময় এসেছে।
[৬] উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা বলেন, দেশে দারিদ্র নিরসনে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন এবং ভিক্ষাবৃত্তির মত অমর্যাদাকর পেশা থেকে মানুষকে নিবৃত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ‘‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’’ শীর্ষক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার তারই ধারাবাহিকতায় রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলাকেও ভিক্ষুক মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
[৭] উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, সকলে মিলে ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুসাহীত করুন, ভিক্ষুকদের অন্যকাজে উৎসাহী করে তুলুন সকলের প্রচেষ্টাতেই একদিন সুন্দর বাংলাদেশ, সুন্দর বাঘাইছড়ি গড়ে উঠবে। সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী
আপনার মতামত লিখুন :