সমীরণ রায়: [২] ড. হাছান মাহমুদ জাহাঙ্গীরনগর, নর্থ সাউথ এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করে সুনাম অর্জনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের আমন্ত্রণে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে গত আগস্ট (২০১৯) থেকে সম্মান শেষ বর্ষের ‘ইভোল্যুশন এন্ড আর্থ’স বায়োস্ফিয়ার’ কোর্স পরিচালনা করেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে একই বিভাগের শেষ বর্ষের জলবায়ু পরিবর্তন কোর্স পরিচালনা করছেন তিনি।
[৩] এনভায়রনমেন্টাল কেমিস্ট্রিতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের আগে কেমিস্ট্রি, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এবং ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স-তিন বিষয়ে মাস্টার্স করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিস্ট্রিতে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে বেলজিয়ামের 'ব্রিজ ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলস' থেকে ‘হিউম্যান ইকোলজি’ ও ইউনিভিার্সিটি অব লিবহা দু ব্রাসেলস থেকে ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স বিষয়ে মাস্টার্স করেন তিনি। এরপর এনভায়রনমেন্টাল কেমিস্ট্রির বিষয়ে বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ব্রাসেলসের ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এ ভিজিটিং ফেলো এবং একাডেমিক বোর্ড মেম্বার হিসেবেও কাজ করেন তিনি।
[৪] যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড ও কর্নেল ইউনিভার্সিটি এবং অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটিতে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে পরিবেশ বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে অভিভাষণ দিয়েছেন হাছান মাহমুদ।
[৫] অতিথি বক্তা হিসেবে একটি ক্লাস নেবার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুরোধে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ বিজ্ঞানের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়ার আগে পরিবেশ বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিষয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন তিনি।
[৬] হাছান মাহমুদ দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একজন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ হিসেবে সুপরিচিত। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে পরিবেশমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্বপালন করছেন। এর আগে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘ ৭ বছর কাজ করেছেন তিনি।