মশিউর অর্ণব: [২] ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৬ মিনিটে আঘাত হানে রিখটার স্কেলে ৯.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প। বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স, উইকিপিডিয়া
[৩] এর ফলে জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট উচ্চতার একটি প্রলয়ংকরী সুনামিও আঘাত হানে।
[৪] বিধ্বংসী এই ভূমিকম্পটি 'গ্রেট সেন্দাই ভূমিকম্প' অথবা 'গ্রেট টোহুকু ভূমিকম্প' হিসেবেও পরিচিত।
[৫] সরকারিভাবে ১৩,৩৩৩ জনের প্রাণহানির কথা বলা হলেও সেদিন নিহতের মোট সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের অধিক, আহত হয়েছিলেন ৪৮,৭৮,২৮২ জন এবং নিখোঁজের সংখ্যা ছিল ১৫,১৫০।
[৬] বলা হয়ে থাকে, ভয়াবহ ওই সুনামির পানির গতি ছিল একটি জেট প্লেনের গতির সমান।
[৭] তীব্র মাত্রার ওই ভূমিকম্পের পরবর্তী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত অন্তত ৫ মাত্রার আরও ২০০টি শক্তিশালী কম্পন বা 'আফটার শক' অনুভূত হয়।
[৮] বাড়িঘর ও অফিস আদালতসহ মোট ৪ লাখ ২৪৩টি কাঠামো সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়।
[৯] জাপানের ৩টি শহরের সর্বমোট ২ লাখ ৩৬ হাজার গাড়ি সুনামির তোড়ে সাগরে নিমজ্জিত হয়।
[১০] ফুকুশিমার দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সহ সেদিন মোট ৩টি পারমাণবিক প্ল্যান্ট প্লাবিত হয়।
[১১] দাইচি পরমাণু কেন্দ্রের ছয়টি চুল্লীর দু’টিতে বিস্ফোরণ ঘটে, এরপর আরও তিনটি রিয়্যাক্টরে আংশিক গলন ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
[১২] বিদ্যুৎকেন্দ্রটির আশেপাশে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের মাত্রা প্রতি ঘন্টায় ৪০০ মিলিসিভার্টে পৌঁছায়।
[১৩] ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ তেজস্ক্রিয় দুর্ঘটনা।
[১৪] ১৯০০ সালের পর থেকে, মাত্রার দিক বিবেচনা করলে জাপানের ৯.০ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি ইতিহাসের চতুর্থ ভয়াবহতম ভূমিকম্প।
[১৫] এর আগে ১৯৬০ সালে চিলির ভালদিভিয়ায় ৯.৫ মাত্রার, ১৯৬৪ সালে আলাস্কার প্রিন্স উইলিয়াম সাউন্ডে ৯.২ মাত্রার, ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।