অনলাইন রিপোর্ট: [২] বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসমাগম এড়িয়ে মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী আয়োজন কীভাবে হবে, তার একটি ধারণা দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
[৩] ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে একটা নির্দিষ্ট সময়ে, একটা বিশেষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আমরা আয়োজন করব। সেটি সকল টেলিভিশনের মাধ্যমে ও আমাদের সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে ব্যবহার করে সম্প্রচারিত হবে।’
[৪] উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য দেড় থেকে দুই ঘণ্টার টেলিভিশন অনুষ্ঠান হবে জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব বলেন, ‘জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটাকে যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেটাকে মোটামুটি একটা অবস্থায় রেখে চিন্তা করেছি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাদের দেড় থেকে দুই ঘণ্টার একটা টিভি প্রোগ্রাম তৈরি করা হবে। সেটা পরবর্তীতে সারা বাংলাদেশে এবং সারা পৃথিবীতে সম্প্রচার হবে।’
[৫] তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রোগ্রামটার মধ্যে আমাদের জাতীয় সংগীত আছে। আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাণী দেবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা সেখানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন, তারপরে তার কবিতা পাঠ আছে।’
[৬] প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে মুজিব বর্ষ উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান ঠিক হয়েছিল, সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তবে বিশ্বের শতাধিক দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ওই আয়োজনে লাগাম টানা হয়েছে।
সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়