কূটনৈতিক প্রতিবেদক : [২] এসব দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
[৩] দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া, আলোচনা এবং ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করা হয়। ৭ মার্চের ভাষণের বাংলা ও ইংরেজি কপি অতিথিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় অতিথি, দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী এতে অংশ নেন।
[৪] যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন দিবসটির গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, ৭ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অনন্য দিন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইতিহাসের একমাত্র ভাষণ যার মাধ্যমে একটা জাতি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
[৫] পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান বলেন, এই ভাষণটিতে অগ্নিঝরা মার্চে মুক্তিপাগল বাঙ্গালি তার মনের কথারই প্রতিধ্বনি খুঁজে পায়। ভাষণের নির্দেশনাতেই বাঙ্গালির অসহযোগ আন্দোলন তীব্রতর হয়।
[৬] জেদ্দা কনস্যুলেটের কনস্যাল জেনারেল ফয়সাল আহমেদ বলেন, নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক তথ্য জানতে হবে। যতদিন বাংলাদেশ আছে ততদিন বঙ্গবন্ধু দলমত নির্বিশেষে সবার মাঝে বেঁচে থাকবেন। বাঙালির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ।