মালয়েশিয়া ২০২৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ৩ লাখ পর্যটক আকৃষ্ট করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুহাদা ওসমান। তিনি বলেন, পর্যটন, সংস্কৃতি ও জনগণের পারস্পরিক বিনিময় আরও জোরদার করতে মালয়েশিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মালয়েশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা বারনামার বরাতে জানা যায়, ঢাকায় মালয়েশিয়া ট্যুরিজম ফেয়ার উপলক্ষে শনিবার রাতে আয়োজিত এক গালা ডিনারে হাইকমিশনার বলেন, সময়ের সঙ্গে দুই দেশের বন্ধুত্ব আস্থা, শ্রদ্ধা ও অভিন্ন প্রত্যাশার ভিত্তিতে আরও দৃঢ় হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গত কয়েক দশকে দুই দেশের সম্পর্ক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিয়মিত সফর ও যোগাযোগের ফলে এই অংশীদারত্ব আরও উন্নতি লাভ করছে।
হাইকমিশনার সুহাদা ওসমান বলেন, ভবিষ্যতে আরও বেশি বাংলাদেশি পর্যটককে মালয়েশিয়ায় স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছে দেশটি। খাবার, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে পর্যটন দুই সমাজকে আরও ঘনিষ্ঠ করে তোলে।
তিনি জানান, ফেস্টিভাল মালয়েশিয়া’ দেশটির বহুসংস্কৃতির সৌন্দর্য, স্বাদ, সুর ও বৈচিত্র্যকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরে। সাংস্কৃতিক বিনিময় বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
হাইকমিশনার স্মরণ করিয়ে দেন, সম্প্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কুয়ালালামপুর সফর দুই দেশের সহযোগিতা আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি নতুনভাবে নিশ্চিত করেছে। বিশেষত পর্যটন, বিনিয়োগ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে এই অগ্রগতি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
তিনি আরও বলেন, কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বেশি সংযোগসমৃদ্ধ বিমানবন্দর, যা ভ্রমণ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে মালয়েশিয়াকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শক্তিশালী আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
দিনের শুরুতে মালয়েশিয়া ট্যুরিজম ফেয়ার এবং ‘ভিজিট মালয়েশিয়া ইয়ার ২০২৬’ প্রচারণার উদ্বোধন করেন হাইকমিশনার। এ সময় তিনি বাংলাদেশ থেকে তিন লাখ পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্যমাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।