শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা

প্রকাশিত : ০৮ মার্চ, ২০২০, ০৭:০৭ সকাল
আপডেট : ০৮ মার্চ, ২০২০, ০৭:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ড. জিনাত হুদা বললেন, স্বাধীনতার ঊনপঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ এখন নারীর ক্ষমতায়নের রোল মডেল

আমিরুল ইসলাম : ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেছেন, সারাবিশ্বেই নারীরা যেমন অনেক এগিয়েছে তেমনি আবার সব ক্ষেত্রে এখনো এগিয়ে আসতে পারেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনার প্রায় পঞ্চাশ বছর হতে চলেছে। সেই হিসেবে বাংলাদেশের নারীরা অনেক এগিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কেন্দ্র থেকে প্রান্ত, জল-স্থল-অন্তরীক্ষ সর্বত্র নারীরা বিরাজমান রয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ পদ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে, বিরোধীদলীয় নেতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক পদগুলোতে নারীরা রয়েছে।

পাইলট, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যাগুলোতেও নারীর রয়েছে। একসময় বলা হতো বিশ্ববিদ্যালয় চালানো বাংলাদেশ চালানোর চেয়ে কঠিন। সুতরাং নারী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হতে পারবেন না। এখন নারী শিক্ষকরাও উপাচার্য হতে পারছেন। শুধু কেন্দ্রীয় নারীদের কথা না বলে যদি আমরা প্রান্তিক নারীদের কথা বলি সেখানেও কিন্তু আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দেশের সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে, গার্মেন্টস কর্মী, প্রাইভেট সেক্টরে নারীরা কাজ করছে। অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হওয়াতে নারীরা এগিয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় নারীদের অনেক সাফল্য আমরা দেখতে পাই। এই সফলতাগুলোই শুধু বাস্তবতা নয়। এর পাশাপাশি আমরা দেখতে পাচ্ছি এখনো পর্যন্ত গৃহের অভ্যন্তরে নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে, কর্মস্থলে নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে। লিঙ্গ সমতার জায়গাটি এখনো আসেনি। এর জন্য পঞ্চাশ বছর নয়, আরও অনেক সময় লাগলেও আমি অবাক হবো না এই জন্য পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ও মানসিকতা হাজার বছরের পুরনো। এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আমরা চাইলেই অনেক কিছু পরিবর্তন করতে পারবো না। কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নারীর যে লড়াই সেগুলোর ক্ষেত্রে পঞ্চাশ বছর তেমন বেশি সময় না। আমাদের নারীরা এসব শৃঙ্খল ভেঙে অনেকটা এগিয়ে গেছে।

বাংলাদেশের নারীদের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরাপত্তা। সম্পত্তির অধিকার পাওয়া। যারা হোমমেকিংয়ের কাজ করে তাদের সম্মান আদায় করা। হোমমেকাররা মানবিক সম্মানটুকুও পাচ্ছেন না। এই সম্মানের ব্যবস্থা করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। নিরাপত্তা বিষয়টির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় যারা রয়েছে তাদের একটা কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। নারীবান্ধব ও মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে নারী-পুরুষ সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এটা মানসিকতা পরিবর্তনের বিষয়, পলিসি মেকিংয়ের বিষয়গুলোতে যতোদিন পরিবর্তন না আসবে ততোদিন সবার জন্য সমতা বিধান করা যাবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়