ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] গোয়েন্দা-উত্তর বিভাগের বিমান বন্দর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কায়সার রিজভী কোরায়েশী জানান, গত মঙ্গলবার রাতে খিলক্ষেত থানার খাঁ পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড সে নিজেই সংঘটিত করেছে বলে স্বীকার করেছে।
[৩] তিনি জানান, পাভেল ও রাকিব মুন্সি দুজনই খিলক্ষেতের কাজী ফকির উদ্দিন রোডের খাঁ পাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। তুচ্ছ কারণে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। রাকিবের ছোট বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে পাভেল। যেটা রাকিব মন থেকে মেনে নিতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে পাভেলের সাথে রাকিবের মারামারি হয়। এতে পাভেলের মাথা ফেটে যায়। যা একপর্যায়ে চরম আকার ধারণ করে। পাভেল রাকিবকে ক্রমাগত হত্যার হুমকি দিতে থাকে। পাভেলের হুমকিতে রাকিব আতঙ্কিত থাকত।
[৪] তিনি আরো জানান, রাকিবের মনে সবসময় একটা শঙ্কা কাজ করত যে, কখন পাভেল তার বোন ও তার ক্ষতি করে বসে। রাকিব মনে মনে পাভেলকে হত্যার ছক আঁটে। পরিকল্পনা অনুযায়ি পাভেলের সাথে প্রথমে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলে রাকিব। এরপর সময় সুযোগ বুঝে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে পাভেলকে নিয়ে বিমান বন্দর থানার কাওলা সিভিল এভিয়েশনের কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে নির্জন জায়গায় যায় রাকিব। সেখানে রাকিবের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে পাভেলকে হত্যা করে।
আপনার মতামত লিখুন :