জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: [২] জাটকা সংরক্ষণে শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এ সময় আইন অমান্যকারীদের জরিমানা ও দুই বছরের জেল এবং উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।
[৩] জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্র জানায়, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে জেলেদের নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক সভা ও সেমিনার করা হচ্ছে। উপক‚লীয় অঞ্চলের বরফ কারখানা বন্ধসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক দিক-নির্দেশনা নিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন লক্ষ্মীপুরের ২৪ হাজার ২৪৭ জন জেলেকে ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। কিন্তু লক্ষ্মীপুরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৬২ হাজার জেলে রয়েছে।
[৪] চাঁদপুর ইলিশ গবেষণা কেন্দ্র সূত্র জানিয়েছে, ইলিশ সংরক্ষণে বছরের চার মাস ২৭ দিন মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে প্রয়োগ হওয়ায় উৎপাদন বেড়েছে। গেল বছর চাঁদপুর, লক্ষীপুর, ভোলা ও নোয়াখালীর হাতিয়া অঞ্চলে প্রায় পাঁচ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার ফলে মা-ইলিশ রক্ষা পাওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন। একটি মা ইলিশ ২৩ লাখ পর্যন্ত ডিম দিতে পারে। অক্টোবর মাসে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে মা ইলিশগুলো প্রচুর ডিম ছাড়তে পেরেছে। সেই ডিমগুলো জাটকায় পরিণত হয়েছে।
[৫]লক্ষ্মীপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, জেলেদের মাছ শিকারে বিরত রাখতে নদীতে কোস্ট গার্ড, মৎস্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। এই আইন অমান্যকারীদের জেল, জরিমানা ও উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।
[৬] চাঁদপুর ইলিশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনিছুর রহমান জানান, এবারের শীতে প্রচুর ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। বছরের প্রায় পাঁচ মাস নদী ও সাগরে নিষেধাজ্ঞার সময়টি ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে প্রয়োগে উৎপাদন আরও বাড়বে। সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী