[২] তাহেরুল আনাম : সরকারের একটু সদয় দৃষ্টি হলেই এই স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিত। দীর্ঘ দিন হয়ে গেলেও স্বপ্নের সেতুটি বাস্তব রূপ নেয়নি। বিভিন্ন সময় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তা এখনো সুদূর অতীত । জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে সেতুটি পাকা করার আস্বাস মিললেও তা কেবল বক্তিতা-বৃত্তির মধ্যেই সীমাবন্ধ ।
[৩] সেতুটি যদি এতোদিনে পাকা হত, তা হলে উপজেলার দৃশ্যপট পাল্টে যেত। জীবনযাত্রার মান উন্নত হত অনেক কাংশেই। কৃষিপন্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে সহায়ক হত এই সেতুটি। স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের স্বাচ্ছন্দ যাতায়াত তাদের পড়াশুনাকে আরো এগিয়ে নিতে সাহায্য করতো। কিন্তু সেগুলি আজ শুধুই স্বপ্ন।
[৪] সেতুটি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলাধীন ১২ নং রাজারামপুর ইউনিয়নের কানাইবাড়ী খড়খড়িয়া ঘাট ঢেপা নদীর উপর নির্মিত। এই স্থানেই একটি পাকা ব্রীজ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি । সেতুটি বাঁশ নির্মিত হওয়ায় জীবনের ঝুকি নিয়েই পাড়াপার হচ্ছে প্রতিদিন লক্ষাধীক মানুষ। ছোট খাটো দূর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। বিষেশ করে শিক্ষার্থী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এই বাঁশের সাকোটি এখন ভয়ের কারণ।
[৪] এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ঢাকা থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ এবাদত হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম জাকিউর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী বিরল জাকিউর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মুকুল চন্দ্র রায়, ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিমউদ্দিন, সমাজ সেবক মোঃ আব্দুস সামাদ সহ এলাকার বিশিষ্ট্য জনেরা বাঁশের সাকোটি পরিদর্শন করেন।
[৫] প্রকল্প পরিচালক, ব্রীজটি যাতে খুব তাড়াতাড়ি নির্মান করা যায় সে ব্যাপারে এলাকাবসীকে আস্বস্ত করেন। ব্রীজটি নির্মিত হলে বিরল উপজেলা সহ কাহারোল, বোচাগঞ্জ, পীরগঞ্জ, হরিপুরসহ কয়েকটি উপজেলার জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন সহ এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন সাধীত হবে। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ