শাহানুজ্জামান টিটু ও মহসীন কবির : ২] বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের যে বিচারটি দেখেছি, তাতে অভিযুক্তরা বলেছেন সঠিক বিচার হয়নি। আমরাও তাই মনে করি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার হয়নি। তাছাড়া সেনাবাহিনী কর্তৃক যে তদন্ত করা হয়েছিল তার রিপোর্ট আজও প্রকাশ করা হয়নি।
৩] মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বনানী সামরিক কবরস্থানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষ তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকাল আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দেখতে পাচ্ছি না। তাদের তদন্ত কতটুকু সত্যকে প্রকাশ করবে তা জানি না। সেনাবাহিনী থেকে যে তদন্ত করা হয়েছিল, তার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।
৪] তিনি বলেন, আজ একটি মর্মান্তিক ও কলঙ্কিত দিন। একটি চক্রান্তমূলক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৫৭ জন অত্যন্ত ট্যালেন্টেড সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। এই দিনটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি আক্রমণ।
৪] পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১১তম বার্ষিকীতে মঙ্গলবার বনানীর সামরিক কবরস্থানে বেলা ১১টার দিকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মির্জা ফখরুলসহ দলের কয়েকজন নেতা।
৫] প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও এটা সত্য আজকাল আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দেখতে পাচ্ছি না। সুতরাং সেই ধরনের তদন্ত কতটুকু সত্যকে প্রকাশ করবে তা আমরা জানি না। তবে আমরা যদি কখনও সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই সুষ্ঠু সঠিক-তদন্ত করা হবে।
৬] মির্জা ফখরুল বলেন, এই দিনটিকে আমরা মনে করি আমাদের জাতীয় জীবনেও প্রচণ্ড রকমের প্রভাব পড়েছে। আমরা দেখছি আমাদের দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমাদের মূল যে বিষয় গণতন্ত্র সেটিকে হরণ করা হয়েছে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে।
৭] তিনি আরও বলেন, ‘২০০৯ সাল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত ও ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা ঘটে। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। জাতীয় জীবনেও এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। আজকে আমরা দেখছি, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছে।
৮] সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দীন, মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী, মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর, মেজর জেনারেল ইব্রাহিম, মেজর মিজানুর রহমান, মেজর নুর, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।