এস এম নূর মোহাম্মদ: চিকিৎসার জন্য লন্ডন যেতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
জামিন আবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবেন।
এর আগে, এ মামলায় হাইকোর্টের একই বেঞ্চে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগে শুনানিতে নজীরবিহীন হট্টগোলের ঘটনাও ঘটে। সে সময় মানবিক কারণে জামিন চাইলেও তা মেলেনি। তাই ক্ষোভে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এজলাস কক্ষে অবস্থান নিয়ে উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলে স্লোগান দেন তারা। ঘটে আওয়ামী লীগের আইনজীবীদের সঙ্গে হাতা-হাতির ঘটনাও।
শুনানি শেষে গতবছরের ১২ ডিসেম্বর পর্যবেক্ষণসহ তা খারিজ করে দেন আপিল বিভাগও। তবে খালেদা জিয়ার সম্মতিতে বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। আপিলের পর হাইকোর্টে সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।
বিএনপি শুরু থেকেই এ মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আসছে। জামিন পাওয়ার যোগ্য হলেও খালেদাকে সরকার জামিন দিচ্ছে না বলে অভিযোগ বিএনপির। গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। শারীরিক অবস্থা গুরুতর উল্লেখ করে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী সরকারকে মুক্তি দিতে অনুরোধ করেন তার আইনজীবীরা।
আপনার মতামত লিখুন :