লাইজুল ইসলাম: মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে কর্মক্ষেত্রে সকল প্রকার সহিংসতা ও যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের ২০০৯ সালের নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং আইএলও কনভেনশন ১৯০ এর ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য দেওয়া হয়।
অ্যাকশন এইড ও ব্র্যাকের পরিসংখ্যান ও গবেষনা তুলে ধরে বলা হয়, ৮০ শতাংশ গার্মেন্টস শ্রমিক কারখানাতে যৌন হয়রানির শিকার হয়। পরিবহনে চলাচলের সময় মৌখিক, দৈহিকসহ নানা ভাবে ৯৪ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়। যৌন আক্রমনের সঙ্গে জড়িত ৪১ থেকে ৬০ বছরের পুরুষ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য শিরীন আকতার বলেন, কর্মক্ষেত্রে সব প্রকার সহিংসতা ও যৌন হয়রানি বন্ধে নারীদের আরও সচেতন হতে হবে। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিবাদ না করলে এই সহিংসতা কমবে না। বরং বাড়বে।
সংসদ সদস্য বলেন, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট অভিযোগ কমিটি গঠনের কথা ছিলো। কিন্তু তা করা হয়নি। তবে কিছু স্কুল ও প্রতিষ্ঠানে এটা হলেও নির্দেশনার অভাবে ভূমিকা রাখাতে পারছে না। এই সংক্রান্ত একটি আইন আশা করি দ্রুত পাশ হবে। মুজিব বর্ষের মধ্যেও পাশ হতে পারে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন বলেন, সংবাদ মাধ্যমেও নারীর ওপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ শোনা যায়। কিন্তু এর কোনো বিহিত হয়না। অনেক সহকর্মী চাকরি হারানোর ভয়ে অভিযোগও করেন না। প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা গেলে এই অবস্থা হতো না।