ফরহাদ টিটো : যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটা আবার দেখলাম রেকর্ডেড। হাইলাইটসও দেখলাম। আমি সবচাইতে মুগ্ধ শরিফুলে। বাংলাদেশ দলের বোলিং-ফিল্ডিংয়ে শরিফই ছিলেন ইউনিটের প্রাণভোমরা। অসাধারণ দুই ক্যাচ, এক রান আউট, বোলিংয়ে হাইয়েস্ট স্কোরার জাইসওয়ালের উইকেটসহ দুই উইকেট... শরিফ যেন ছিলেন এক অপ্রতিরোধ্য ইয়াং টাইগার। আসলে ম্যাচটা বাংলাদেশ অর্ধেক জিতে নিয়েছিলো শরিফ-সাকিবের ওপেনিং বোলিং স্পেলেই। এতো আগুনঝরা, ব্যাটসম্যানের গলা টিপে ধরা বোলিংয়ের পর ইন্ডিয়া আর ঘুরেই দাঁড়াতে পারেনি সারা ইনিংসে। বড় ইনিংস গড়ার স্বপ্ন তাদের শুরুতেই শেষ হয়ে গিয়েছিলো মূলত শরীফের কারণেই। সেই শরীফই আবার ইন্ডিয়ান ব্যাটিংয়ের প্রাণ জাইসওয়ালকে আউট করে দিয়েছিলেন সেট হওয়া অবস্থায়, যেখান থেকে নিজের সেঞ্চুরি আর দলের ডাবল সেঞ্চুরি সম্ভাব্য ও সহজ করে তুলেছিলেন জাইসওয়াল।
বোলিংয়ে শরিফুলের অ্যাকশন-অ্যাটিচ্যুড, স্লেজিং ছিলো বাংলাদেশ দলের জন্য খুব ইন্সপায়ারিং... আমাদের জন্যও, যারা লাইভ দেখছিলাম খেলা। আমাদের ব্যাটিংয়ে আকবর আলির মাথা ঠা-া ক্যাপ্টেন্স নকটা না দেখা গেলে শরিফুলই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়ে যেতে পারতেন আমার ধারণা। যদিও ইমনের প্রায় পঞ্চাশ গুডলুকিং স্কোর, অভিষেকের তিন উইকেট কমপ্লিট করতো তার সঙ্গে শেষমেশ জয় হতো শরিফেরই । শরিফুলকে যতো তাড়াতাড়ি জাতীয় দলের ক্যাম্পে আনা যাবে ততোই লাভের সম্ভাবনা আমাদের। অমত করেন, দ্বিমত করেন, তর্ক করেন... কোনো সমস্যা নেই। আমার বিশ্বাসটা থাকছেই। ফেসবুক থেকে