মিনহাজুল আবেদীন: শনিবার বিবিসি বাংলার পরিক্রমা অনুষ্ঠানে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান একথা বলেন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতি বছর ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন অর্থ দেশ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে পাচার করা হচ্ছে, এটা সরকার এবং দেশবাসীর জন্য বিরাট একটা উদ্বেগের বিষয়। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, অর্থপাচার বিভিন্ন উপায়ে করা হয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সাথে মিস ইনভয়েচের মাধ্যমে, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট করে জালিয়াতি করে, বাইরের দেশে নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায়, তবে প্রবাসে কর্মী যাওয়ার জন্য ভিসা বাবদ যে টাকা নেয়া হয়, সেই অর্থ বিদেশে বেশি পাচার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অর্থপাচার বন্ধ করার জন্য দক্ষ জনবল এবং আধুনিক জ্ঞান পদ্ধতি প্রয়োজন এবং প্রযুক্তিগত ব্যবহার জানতে হবে। তবে সকল প্রতিষ্ঠান সমন্বয় করে কাজ করলে, দেশের পাচার হওয়া অর্থ ফেরৎ পাওয়া যাবে এবং অর্থপাচারকারীদেরকে সনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনা যাবে।
একই অনুষ্ঠানের দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক পরিচালক গোলাম রহমান বলেন, বাংলাদেশের অর্থ বাংলাদেশীরাই ঘুষ, দুর্নীতি, হুন্ডির মাধ্যমে টাকা বাইরের বিভিন্ন দেশে পাচার করে। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।
তিনি আরও বলেন, দুবাই, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুরে বেশির ভাগ মানুষ দেশ থেকে অর্থপাচার করে। তবে এ ক্ষেত্রে দেশে কিছু অবৈধ সংস্থা কাজ করছে এবং মানুষকে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিচ্ছে। তবে এই সংস্থাগুলোকে চিহ্নিত করে আইনানুক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং আইনের শাসনের ভিত্তি আরো মজবুত করতে হবে। তাহলে অর্থপাচার বন্ধ হবে। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :