লাইজুল ইসলাম : রাজধানীর পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার। এছাড়া খুচরা বাজার পলাশী, নিউমার্কেট ও মগবাজার কাঁচা বাজার। গতকাল এই চারটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের তুলনায় অন্তত ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি শীতের মৌসুমে সবজির ফলন ভালো হলেও দাম কমছে না সবজির এমনটাই দাবি কাঁচা সবজির ব্যবসায়ীদের।
পাইকারী বাজারে প্রতি পিস ছোট, মাঝারী ও বড় লউ বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ৪০, ৫০ ও ৭০ টাকায়। খুচরা বাজারে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে শুরু হয়ে শেষ হচ্ছে ১২০ টাকায়। কুমড়াও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারী বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে, সিম ২০-২৫, টমেটু ৩০-৪০, মরিচ ৪০-৫০, আলু ২০, মূলা ১০-১৫, গাজর ২৫-৩০, বেগুন ২৫-৩০ টাকা করে। প্রতি পিস বাঁধা কপি ২০-২৫, ফুল কপি ১৫-২৫, কাঁচকলা ২ টাকা করে। শাক বিক্রি হচ্ছে প্রতি মুটা, পালং-লাল, কচু ৫টাকা করে। কলোই শাক ৪০-৫০টাকা। এছাড়া, ধনিয়া পাতা ৫ ও পুদিনা পাতা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে। এসব পন্য রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে অন্তত ১০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দেশি ১১০, বার্ম ১০০, পাকিস্তানি ৯০, চায়না ৬০ টাকা করে। খুচরায় ১০-২০ থেকে টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। মাছের দামও কারওয়ান বাজারের পাইকারী বাজারে কিছুটা কমেছে। তবে খুচরায় এগুলোই ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে স্থায়ী করার চিন্তা করছে ব্যবসায়ীরা।
চায়না আদা গত সপ্তাহে ছিলো ১৪০ এসপ্তাহে ১২০। রুন ছিলো ১৯০ এ সপ্তাহে ১৮০। তবে এসব পন্যের দাম কবে কমবে তা কেউ কিছুই বলতে পারেনি।
চাল, তেল, ডাল, বিভিন্ন ধরনের মসলার বাজার গত সপ্তাহেরমতই আছে। তবে গেলো কিছুদিনে এসকল পন্যের দামই বেড়েছিলো।
ডিম, মুরগি, খাসি ও গরুর মাংসের দাম রয়েছে আগের মত।