শিরোনাম
◈ তিন বিমানবন্দরে কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে ১৬ প্রতিষ্ঠানের! ◈ ব্রুসেলোসিস প্রতিরোধে দেশে প্রথমবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ ◈ আমতলীতে বিএডিসির বীজে সিন্ডিকেট, ৬৭০ টাকার বীজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়! ◈ শেরপুরের ঝগড়ারচর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই, ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৩ কোটি টাকা ◈ নিউইয়র্কের ডালাস ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীকে শাজাহানপুরে হত্যা ◈ সাবমেরিন ক্যাবল চুরির চেষ্টা, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালী; দুজন আটক ◈ হাওরপাড়ের মেয়ে ইমার হকির আন্তর্জাতিক অভিষেক ◈ জামালপুর খনি থেকে দৈনিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাবনা  ◈ টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রের রাষ্ট্রীয় সম্পদ অবহেলায় ধ্বংসের পথে ◈ এনবিআর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্তে হস্তক্ষেপ নেই: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:০২ সকাল
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৪৭ সালে দেশভাগের সময় দেশত্যাগীদের সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি বিবেচনায় নিলামে তুলছে ভারত সরকার

সাইফুর রহমান : ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, পশ্চিমবঙ্গে যেসব শত্রু সম্পত্তিতে মামলার জটিলতা নেই, প্রথম দফায় সেগুলোর তালিকা তৈরি করে নিলামে তোলা হচ্ছে। এই পাইলট প্রোজেক্ট সফল হলে অন্যান্য রাজ্যে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে। বিবিসি
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর কিংবা ৬৫ ও ৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, তাদের ফেলে যাওয়া জমিজমা-ঘরবাড়ি ভারত সরকার শত্রু সম্পত্তি হিসেবে অধিগ্রহণ করে ভারত সরকার। ভারত-পাকিস্তান বা চীন-ভারত যুদ্ধের সময় দেশত্যাগীদের ফেলে যাওয়া এসব সম্পত্তি বিক্রি করে তারা অন্তত এক লক্ষ কোটি রুপি কোষাগারে জমা করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

২০১৭ সালে পার্লামেন্টে আইন সংশোধন করে কথিত এই শত্রু সম্পত্তির ওপর উত্তরাধীকারীদের দাবির অধিকারও অনেকটাই কেড়ে নেয়া হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, উত্তরপ্রদেশেই এধরণের সম্পত্তির পরিমান সবচেয়ে বেশি, যা প্রায় ৫ হাজারের মতো। এর পরেই ২৭৩৫টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ দর্শনা মিত্র জানান, সামান্য কয়েকজন চীনা বংশোদ্ভূতকে বাদ দিলে এই তথাকথিত শত্রুরা প্রায় সবাই যেহেতু মুসলিম, তাই ভারতের অনেক মুসলিম সংগঠনই মনে করে সংশোধিত শত্রু সম্পত্তি আইন আসলে একটি মুসলিম-বিদ্বেষী পদক্ষেপ।
এদিকে মুসলিম সংগঠণ জামাত-ই-ইসলামি হিন্দের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: সালিম ইঞ্জিনিয়ারের মতে, ‘যুদ্ধের সময় যারা দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন তারা অনেকেই নিজেদের জমি-বাড়িতে আত্মীয়স্বজনদের বসিয়ে গিয়েছিলেন এবং পরে সেই সম্পত্তির দখলও নিয়েছিলেন।’ কিন্তু আইন পাল্টে সরকার আসলে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশানা করে তাদের বৈধ সম্পত্তি কেড়ে নিতে চাইছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়