শিরোনাম
◈ দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম, আজ থেকে নতুন দরে বিক্রি ◈ সকাল ৬টায় ঢাকায় ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত ◈ গভীর রাতে নোয়াখালীর সোনাপুরে বিআরটিসি ডিপোতে ২ বাসে আগুন ◈ খালেদা জিয়াকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উৎকণ্ঠা—এভারকেয়ারে নজর সবার ◈ প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে বাড়তি খরচ কমাতে নতুন ছক চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ ১০ মাস পর প্রার্থী পরিবর্তন: খুলনা-১ এ জামায়াতের টিকিট পেলেন কৃষ্ণ নন্দী ◈ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এভারকেয়ারে ◈ উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্ত করতে পে-প্যালের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে: গভর্নর ◈ 'স্বেচ্ছা নির্বাসনে' যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ◈ স্কুলে ভর্তির নীতিমালা সংশোধন, বয়সসীমা শিথিল করল মাউশি, রেজিস্ট্রেশনের বয়সে কঠোর বোর্ড

প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:০২ সকাল
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৬:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৪৭ সালে দেশভাগের সময় দেশত্যাগীদের সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি বিবেচনায় নিলামে তুলছে ভারত সরকার

সাইফুর রহমান : ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, পশ্চিমবঙ্গে যেসব শত্রু সম্পত্তিতে মামলার জটিলতা নেই, প্রথম দফায় সেগুলোর তালিকা তৈরি করে নিলামে তোলা হচ্ছে। এই পাইলট প্রোজেক্ট সফল হলে অন্যান্য রাজ্যে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে। বিবিসি
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর কিংবা ৬৫ ও ৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, তাদের ফেলে যাওয়া জমিজমা-ঘরবাড়ি ভারত সরকার শত্রু সম্পত্তি হিসেবে অধিগ্রহণ করে ভারত সরকার। ভারত-পাকিস্তান বা চীন-ভারত যুদ্ধের সময় দেশত্যাগীদের ফেলে যাওয়া এসব সম্পত্তি বিক্রি করে তারা অন্তত এক লক্ষ কোটি রুপি কোষাগারে জমা করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

২০১৭ সালে পার্লামেন্টে আইন সংশোধন করে কথিত এই শত্রু সম্পত্তির ওপর উত্তরাধীকারীদের দাবির অধিকারও অনেকটাই কেড়ে নেয়া হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, উত্তরপ্রদেশেই এধরণের সম্পত্তির পরিমান সবচেয়ে বেশি, যা প্রায় ৫ হাজারের মতো। এর পরেই ২৭৩৫টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ দর্শনা মিত্র জানান, সামান্য কয়েকজন চীনা বংশোদ্ভূতকে বাদ দিলে এই তথাকথিত শত্রুরা প্রায় সবাই যেহেতু মুসলিম, তাই ভারতের অনেক মুসলিম সংগঠনই মনে করে সংশোধিত শত্রু সম্পত্তি আইন আসলে একটি মুসলিম-বিদ্বেষী পদক্ষেপ।
এদিকে মুসলিম সংগঠণ জামাত-ই-ইসলামি হিন্দের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: সালিম ইঞ্জিনিয়ারের মতে, ‘যুদ্ধের সময় যারা দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন তারা অনেকেই নিজেদের জমি-বাড়িতে আত্মীয়স্বজনদের বসিয়ে গিয়েছিলেন এবং পরে সেই সম্পত্তির দখলও নিয়েছিলেন।’ কিন্তু আইন পাল্টে সরকার আসলে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে নিশানা করে তাদের বৈধ সম্পত্তি কেড়ে নিতে চাইছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়