লাইজুল ইসলাম: প্রতিদিন ৬ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি বর্জ্য তৈরি হচ্ছে রাজধানী ঢাকায়। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ বর্জ্য সংগ্রহই করতে পারে না সিটি করপোরেশন।
মৌচাক ফ্লাইওভারের নিচে, মালিবাগ, মগবাজার প্রধান সড়কের পাশে, শান্তিনগর সড়কের ওপর, পুরান ঢাকা, মিরপুর, উত্তরা, যাত্রাবড়ীতে রাস্তার ওপর ময়লার ভাগাড়। এসব ময়লার ভাগাড় সিটি করপোরেশনেরই।
এগুলোর কারণে সড়কের পাশ দিয়ে হেটে চলাচল করা কঠিন হয়ে পরছে সাধারণ মানুষের জন্য।বাসাবাড়ি ও স্কুলের আশেপাশে বেশ কয়েকটি আবর্জনার ডাস্টবিন থাকায় স্কুলে যাতায়াত করাটাও কঠিন হয়ে পরেছে। স্থানীয়রা বলেন, দক্ষিণের নতুন মেয়র ও উত্তরের মেয়র অবশ্যই কিছু না কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।যাতে করে রাজধানীবাসী এই সমস্যায় আর না পরে।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের প্রায় অর্ধেক জায়গা দখল করে রাখা বর্জ্যরে দুর্গন্ধে জনভোগান্তির অভিযোগ অনেক আগে থেকেই উঠেছে। রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন যে আবর্জনা তৈরি হয় তার প্রায় অর্ধেকই সংগ্রহ করতে পারে না সিটি করপোরেশন।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশনের নিজস্ব জায়গার অভাব আছে। যা রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। ৮ থেকে ১০টি কন্টেনাইর বর্জ্য রাখা জায়গা হচ্ছে না। তারপরও এ বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
নগরবিদদের মতে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক হতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তিতে ঢেলে সাজাতে হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। আর নিশ্চিত করতে হবে তদারকি। নগরবিদ ড. আক্তার মাহমুদ বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে তা পরবর্তীতে রি-সাইক্লিং করার প্রক্রিয়াটি আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন।