সাইফুর রহমান : প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরের ইচাংয়ের অবস্থান। যেখানে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডর্মেটরিতে আটকে আছেন বাংলাদেশের ১৭২ জন শিক্ষার্থী।
সম্প্রতি তাদের খাদ্য ও পানীয় জলের সংকট এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসসহ সরকারের ভূমিকার বিষয়টি দেশের মূল ধারার সংবাদ মাধ্যমগুলোতে উঠে আসে। কিন্তু এক পর্যায়ে খাদ্য সঙ্কট মিটলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমুহুর্তে কাউকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় বক্তব্যের পর তারা অনেকটা অসহায় বোধ করছেন ।
আমাদের নতুন সময়ের সঙ্গে আলাপে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ভারতসহ আরো কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের বিশেষ বিমানে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বিপন্ন নাগরিকদের জীবনের চেয়ে অর্থের বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। একে নিজেদের দুর্দিনে দেশের কর্তাব্যক্তিদের বিমাতা সূলভ আচরণ উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা জানান, এর ফলে একটা সময় হয়তো দেশের প্রতি টানটা আর থাকবে না।
চায়না থ্রি জর্জেজ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াকুব জনি জানান, এক পর্যায়ে বহির্বিশ্বের গণমাধ্যমেও বিষয়টি তুলে আনার বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা। তবে তাতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে এই বিবেচনায় আবার পিছিয়ে এসেছেন। টানা ১৮-১৯ দিন ধরে চলমান একরকম বন্দিদশায় প্রতিটি মুহুর্ত তাদের কাটছে চরম আতঙ্কে।
পাশাপাশি ১৭২ টি পরিবারও রয়েছে ভীষণ অস্থিরতায়। এর অবসান হবে হবে কবে, তাও জানে না কেউ। এদিকে ইচাংয়ে ভাইরাস সংক্রমনের মাত্রাও বেড়ে চলেছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ্য থাকলেও কে কখন আক্রান্ত হয় সে ভয় সবার মনে। প্রিয়জনদের কাছে ফেরার উপায় নেই। তাদের অনুভূতি, স্বজন এবং প্রিয় দেশ যেনো আলোকবর্ষ দূরে। সে আকুতি তারা তুলে ধরে চিতকর্মে র মাধ্যমে। : সালেহ্ বিপ্লব