আশরাফুল আলম খোকন : আপনি যদি বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি করেন, কিংবা বিএনপি-জামায়াতি সমর্থক, অথবা বিএনপি-জামায়াতপন্থী সুশীল/বুদ্ধিজীবী...আপনারা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইতেই পারেন। এইটাই স্বাভাবিক। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন এইটা আপনাদের কাছে মুখ্য কোনো বিষয় নয়। হ্যাঁ বিবেক বলে কোনো শব্দ যদি আপনার ডিকশনারিতে না থাকে তাহলে আপনি বলতেই পারেন তিনি তো দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, ৩/৪ কোটি টাকা চুরি কোনো মামুলি বিষয় নয়, তিনি মুক্তি পেতেই পারেন। কতো লোক কতো টাকা কতোভাবে চুরি করে। ভাবনা যদি এই হয় তাহলে আপনাদের জন্য করুণা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই নেই। কারণ আপনাদের বিবেক মেনেই নিয়েছে যে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী সাধারণদের মতো চোর হবেন। এতিমের টাকা আত্মসাতের যে ঘটনা এটা যেকোনো সাধারণ মানুষকে বললেও তারাও নিশ্চিন্তে চুরির পক্ষেই রায় দেবে বিষয়টি এতোটাই পরিষ্কার। কারণ খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর ছাড়া তার ছেলেরা এই টাকা লুটপাট করতে পারতো না।
অনেকেই বলেন, টাকা তো এখন অ্যাকাউন্টে আছে তাহলে জেল কেন? এই প্রশ্ন যদি আপনার মনে আসে তাহলে বুঝবেন আপনি ‘রাতকানা-দিনকানা’ দুই রোগেই ভুগছেন। কারণ মামলাটি যখন হয় তখন ব্যাংকে কোনো টাকা ছিলো না। মামলা হওয়ার পর উকিলদের পরামর্শে লুটপাটের ৪ বছর পরে টাকাগুলো এনে ব্যাংকে আবার জমা করা হয়। মামলা না হলে কী এই টাকা আদৌ ফেরত আসতো? মোটেও না। কারণ টাকাগুলো ব্যবসায়ীদের দিয়ে দেয়া হয়েছিলো। আর হ্যাঁ এই মামলাটা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হয়নি। ফেসবুক থেকে