আসিফ কাজল: ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে বড় পরিসরে ঘটা করে সাজানো হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। বাংলা একাডেমি ও সোহরওয়ার্দী উদ্যানকে চারটি ভাগে ভাগ করে পুরো মেলাজুড়ে তুলে ধরা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা অধ্যায় । ‘শেকড়’, ‘সংগ্রাম’, ‘মুক্তি’ এবং ‘অর্জন’ চারটি ভাগে ভাগ করে বঙ্গন্ধুর জীবনের অর্জনকে উপস্থাপন করা হয়েছে মেলাজুড়ে।
প্রতিদিন মেলায় প্রকাশিত হচ্ছে নতুন বই, প্রতিদিনই বাড়ছে বইপ্রেমীদের আনাগোনা। তবে বই বিকিকিনির বাইরেও এবছর বইয়ের এ উৎসব জমে উঠেছে। মেলার প্রথম সপ্তাহে ৮৪১টি বই প্রকাশিত হয়েছে। গত বছর মেলার প্রথম সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৮৩২টি।
মেলায় ঘুরতে আসা তাহমিনা তমা বলেন, ভ্রমণ কাহিনী আমার অনেক প্রিয়। এছাড়াও রহস্য উপন্যাসতো রয়েছেই। বই মেলা মানে নতুন-পুরাতন লেখকদের সমন্বয় সঙ্গে নতুন নতুন বই কেনার বড় সুযোগ। দেশি দর্শনার্থীদের পাশাপাশি বিদেশী দর্শনার্থীদেরও আনাগোনা দেখা যায়। তরুণ লেখক স্বাধীন চক্রবর্তী বলেন, অনলাইন আর ডিভাইস আর মনিটরে তরুণ-তরুণীদের আটকে থাকা জোড়া চোঁখ সরাতে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। এবারের মেলায় ৩৪টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়নগুলোও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে পাঠক দর্শনার্থীদের কাছে।
বই বিক্রেতারা জানান, প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটেছে মেলায়। অনেকেই ঘুরে ঘুরে নিজের পছন্দমতো বই কিনেছেন। মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে বেশিরভাগ নতুন বই চলে এসেছে। ফলে কেনাবেচা পুরোদমেই শুরু হয়ে গেছে।