শিরোনাম
◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মুজিবনগর দিবস বাঙালির শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৫১ দুপুর
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িতের হতে পারে আমৃত্যু কারাবাস: আইসিসি

ডেস্ক রিপোর্ট  : মিয়ানমারের রাখাইনে মুসলিম রোহিঙ্গা গণহত্যার আলামত সংগ্রহ শুরু করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি)। এই গণহত্যা প্রমাণিত হলে এর সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজা আমৃত্যু কারাবাস হতে পারে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান বাংলাদেশ সফরত আইসিসির একটি প্রতিনিধি দলের প্রধান পাকিসো মচোচোকো।

তিনি জানান, রোহিঙ্গা গণহত্যার আলামত সংগ্রহ শুরু করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি)। গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের লক্ষ্যে এই আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। কবে নাগাদ এই বিচার শুরু হবে- তা নিশ্চিত নয়। অপরাধ প্রমাণ করার মতো আলামত সংগ্রহ হলে শুরু হবে বিচার কাজ। তবে এই বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। অপরাধ প্রমাণ হলে তার সর্বোচ্চ সাজা আমৃত্যু কারাবাস।

পাকিসো মচোচোকো আইসিসির প্রসিকিউটর দফতরের জুরিডিকশন, কোঅপারেশন কম্লিমেন্টারিটি বিষয়ক পরিচালক। আইসিসির অধীনে বিচার শুরু হলে জাতিসংঘের আওতাভুক্ত দুইটি আদালতে এ বিচার সম্পন্ন হবে।

তিনি জানান, জাতিসংঘের অধীনে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার শুরু করেছে। আইসিজে দুই রাষ্ট্রের বিরোধ নিষ্পত্তি করে; কোনো ব্যক্তির বিচার করে না। দ্য হেগে অবস্থিত আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করে গাম্বিয়া। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠাকালে আইসিজে প্রতিষ্ঠিত হয়। শুধু গণহত্যা নয়; দুই রাষ্ট্রের মধ্যে যে কোনো বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আদালত।

অপরদিকে, ১৯৯৮ সালে রোম সংবিধির আওতায় আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে বিশেষায়িত এই আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশ সই করলেও মিয়ানমার রোম সংবিধিতে সই করেনি। ফলে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার আইসিসিতে করা সম্ভব কিনা এ নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছিল।

এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে পাকিসো মচোচোকো বলেন, মিয়ানমার রোম সংবিধিতে সই না করলেও বাংলাদেশ এতে সই করেছে। মিয়ানমারে সংগঠিত গণহত্যার অভিযোগের পর তার শিকার ব্যক্তিবর্গ সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশ রোম সংবিধিতে সই করায় আইনে তাই রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার সম্ভব। রোহিঙ্গারা যদি মিয়ানমারের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে চলে যেত তবে বিচার সম্ভব ছিল না। তারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করায় বিচার সম্ভব।

তিনি বলেন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তকারী দল সুষ্ঠু পদ্ধতিতে আলামত সংগ্রহের কাজ ইতিমধ্যে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে আদালতের কাছে কেউ সন্দেহভাজন নন। তবে আলামত সংগ্রহের প্রক্রিয়া গোপনীয়। এটা পক্ষপাতহীনভাবে চলবে। অপরাধ প্রমাণের মতো সন্তোষজনক আলামত সংগ্রহ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিচার শুরু হবে না। ফলে পর্যাপ্ত আলামত সংগ্রহ করা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলতে থাকবে। আলামত সংগ্রহের লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজের সহায়তা নেয়া হবে।

আইসিসির প্রসিকিউটর দফতরের এই পরিচালক আরও বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার আলামত সংগ্রহে বাংলাদেশ খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করছে। এ জন্য আমরা বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিয়ানমার কোনো সহায়তা করছে না। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, বিভিন্ন সময়ে আহ্বান জানানোর পরও মিয়ানমার এ ব্যাপারে কোনো সহায়তা করছে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়