কিশোর সরকার : নৌ-দুর্ঘটনা রোধে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল ৬ দফা সুপারিশ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে ঢাকা সদরঘাট থেকে চলাচলকারী এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ৩৩ লঞ্চ চলাচল বন্ধ বা দু’টি ইঞ্জিন স্থাপন করে ত্রুটি মেরামত করা, লঞ্চে জিপিএস, রাডার, ভিএইচএফ ও ইকো সাউন্ডার স্থাপন, প্রতিটি যাত্রীবাহী নৌযানে ২জন মাস্টার ও ২জন ড্রাইভার বাধ্যতামূলক করা, প্রত্যেক মাস্টার ড্রাইভারকে ২১ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া, মাস্টারব্রিজ বা হুইল হাউজ যাত্রীদের কাছে ভাড়া না দেয়া।
২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর রাত একটার দিকে এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট এমভি মানিক ও বোগদাদিয়া লঞ্চে দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়। তদন্তে দেখা গেছে, এমভি মানিক এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট ও বোগদাদিয়া লঞ্চের গভীরতা কম। এছাড়া দু’টি লঞ্চের কারও জিপিএস, রাডার, ভিএইচএফ ও ইকো সাউন্ডার নেই। আর এবছর ১৩ জানুয়ারি কীর্তনখোলা ও ফারহান লঞ্চের দুর্ঘটনায় ২জন যাত্রী নিহত হন।
নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের হিসেব মতে, ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ৫৬৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৬৬৬৭ জন। ২০১৯ সালে ২৫টি নৌ দুর্ঘটনায় নিহত হয় ১৬ জন।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, সুপারিশ কেন বাস্তবায় হচ্ছে তা আমরা বলতে পারছি না। আমরা সার্ভে সনদ দেখে চলাচলের অনুমতি দিচ্ছি। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও
আপনার মতামত লিখুন :