শিরোনাম
◈ আরপিও ২০ ধারার সংশোধনী: রাজনৈতিক অধিকার বনাম আইনগত বাধ্যবাধকতা ◈ পাঁচ দুর্বল ইসলামী ব্যাংক একীভূত: নতুন ‘সম্মিলিত ব্যাংক’ গঠনের পথে সুযোগ ও ঝুঁকি ◈ নৌ, বস্ত্র ও পাট, পরিকল্পনা ও সমবায়ে নতুন সচিব ◈ যারা চাপে পড়বেন নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হলে ◈ প্রার্থীদের ঋণতথ্য যাচাইয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ সাংবাদিককে কনুই মারলেন বিএনপি নেতা সালাম, ভিডিও ভাইরাল ◈ বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নিল ভারতীয় দূতাবাস ◈ গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে সোমবার! ◈ দুর্দান্ত ব‌্যা‌টিং‌য়ে অঙ্কনের শতক, ঘুরে দাঁড়ালো ঢাকা বিভাগ 

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:৪৮ দুপুর
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:৪৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডিজেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যস্তা গ্রহণের হুঁশিয়ারি বিপিসি’র

শাহীন চৌধুরী: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসি জানিয়েছে দেশে ডিজেলের কোনও সংকট নেই। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অতিরিক্ত দাম আদায় করতে চাইলে অথবা অবৈধ মজুত গড়ে তুললে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। বুধবার বিপিসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হয়।

বিপিসি’র চেয়ারম্যান সামছুর রহমান জানান, হঠাৎ করেই শোনা যাচ্ছে দেশে ডিজেলের সংকট দেখা দিতে পারে। বাড়তে পারে দামও। তাই বেড়ে গেছে ডিজেল বিক্রির পরিমাণ।বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সংকটের গুজবে কান না দিতে তিনি আহবান জানিয়েছেন।

চেয়ারম্যান বলেন, দেশে এই মুহূর্তে ডিজেলের কোনও সংকট নেই। বরং এখন আমাদের কাছে ১৩ দিন সরবরাহ করা যাবে এমন পরিমাণ ডিজেল আছে। কেউ যদি গুজব ছড়িয়ে ডিজেলের কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংকট তৈরির জন্য কেউ বাড়তি মজুত করছে কিনা, তা জানতে সংশ্লিষ্ট ডিপোগুলোর কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এই মুহূর্তে ১৩ দিনের ডিজেল মজুত আছে। ১৫ ফেব্রুয়ারিতে এই মজুত গিয়ে দাঁড়াবে ২৫ দিনের এবং ১ মার্চ তা বেড়ে দাঁড়াবে ২৯ দিনের।আজ দুই জাহাজে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন এবং ৩০ জানুয়ারি দুটি জাহাজে ৩৩ হাজার টন ডিজেল আনলোড হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মোট মজুত গিয়ে দাঁড়াবে ৫ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টনে।এছাড়া কুতুবদিয়ায় আরও ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন মজুতের একটি জাহাজ রাখা হচ্ছে।

চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের এই মজুতের হিসাব থেকে বোঝা যায় চাহিদার চেয়ে বেশি মজুত আছে। আমরা উল্টো এই অতিরিক্ত ডিজেল কীভাবে বিক্রি করবো তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ করেছি গত বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় চলতি বছর বিক্রি প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। জানুয়ারি মাসের কয়েকটা দিনের হিসেবে প্রায় অস্বাভাবিক বিক্রি আমাদের নজরে এসেছে। এজন্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

জ্বালানি তেল পাচারের বিষয়ে তিনি বলেন, অতিরিক্ত ডিজেল কিনে কেউ যাতে পাশের দেশে বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য আমরা সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ করেছি।

দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি জানান, ২০১৬ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়। এরপর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম উঠা-নামা করলেও আমরা একই দামে এখনও তেল বিক্রি করছি। নতুনভাবে দাম নির্ধারিত না হলে এই দামই বহাল থাকবে। ডিজেলের দাম আলাদাভাবে বাড়ার কোনও সুযোগ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়