নূর মাজিদ : চলতি বছরে বিশ্ববাজারে তেলের দরপতনে বাজেট ঘাটতি বাড়বে মধ্যপ্রাচ্যের স¤পদশালী দেশ কুয়েতের। আগামী ছয় বছরে মাঝারি আকারের বাজেট বরাদ্দ দেয়া হলেও, এই ঘাটতি এড়ানো সম্ভব হবেনা বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ। খবর : রয়টার্স।
চলতি মাসের গোড়াতেই আগামী পহেলা এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলা অর্থবছরের সম্ভাব্য বাজেট ঘাটতির অনুমান জানায় কুয়েত সরকার। কুয়েতি দিনারে এই ঘাটতির পরিমাণ ৯২০ কোটি দিনার বা ৩ হাজার ৩১ কোটি ডলার। পূর্ববর্তী (চলতি) অর্থবছরের তুলনায় এই সময় সরকারি আয়ব্যয়ের কমতি বাড়বে ১৯ শতাংশ। আইএমএফ বিবৃতি কুয়েতি সংকটের প্রকৃত কারণ তুলে ধরে জানায়, ‘তেলের বাজারদর পড়তির জোর সম্ভাবা দেখা যাচ্ছে। বর্তমান মূল্য অনেক দিক থেকেই কুয়েতের বাজেট বরাদ্দের উচ্চাকাংখ্যা পূরণে যথেষ্ট অর্থ সরবরাহ করতে পারবে না। এছাড়াও, দেশটির তেল নির্ভর অর্থনীতিতে বহিঃবিশ্বের ভূরাজনীতির ব্যাপক প্রভাব পড়বে।’
সম্প্রতি দেশটি সফর করে সেখানকার সরকারি কর্মকরতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইএমএফ প্রতিনিধি দল। এরপরেই ওয়াশিংটনভিত্তিক দাতা সংস্থাটি আগামী দিনে দেশটির ঠিক কি পরিমাণ অর্থ ঋণ সহায়তা দরকার হতে পারে, তার অনুমান প্রকাশ করে।
আইএমএফ আরও জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির বাজেট বরাদ্দে উর্ধগতি দেখা যাচ্ছে, যা চলতি বাজেটে যেমন ঘাটতি সৃষ্টি করেছে তেমনি আগামি ৬ বছরেও নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে খরচের মাত্রা সরকারি আয়কে অতিক্রম করবে। বার্ষিক বরাদ্দের অর্থায়ন চাহিদা মোকাবেলার চ্যালেঞ্জও তাই বাড়ছে। কিন্তু একইসঙ্গে প্রতিনিয়তই কমছে সেই সুযোগ।
আপনার মতামত লিখুন :