ইয়াসিন আরাফাত : রোববার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের এক অনুষ্ঠানে ওই মন্তব্য করেন ভারতের ঐতিহ্যবাহী ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দের ওস্তাদ মাওলানা আবদুল আব্বাস। এসময় তিনি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের সমর্থন করে বলেন, আমরা জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয়ার পরে চুপ করে ছিলাম। এরপরে যখন ট্রিপল তালাকবিরোধী আইন তৈরি করা হয় তখনও চুপ করে ছিলাম। কিন্তু এবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছি। এ নিয়ে আমরা চুপ করে থাকব না। পার্সটুডে
মাওলানা আব্দুল আব্বাস বলেন, আমরা নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের সমর্থন করছি। কিছু শক্তি দেশ ভাঙতে চায়, তবে আমরা এটি হতে দেব না। দেশ বিভাজনকারী শক্তিগুলোকে তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেওয়া হবে না।
অন্যদিকে, আজ প্রজাতন্ত্র দিবসে আয়োজিত এক কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে দারুল উলূম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসিম নোমানী বলেন, দেশে যে পরিস্থিতি চলছে তা কারও কাছে গোপন নয়। সরকারের নাম না উল্লেখ করে মুফতি নোমানী বলেন, কিছু শক্তি সংবিধান থেকে সরে গিয়ে স্বেচ্ছাচারী উপায়ে দেশ চালাতে চাচ্ছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে এদেশে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্শিদের নাগরিকত্ব দিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) তৈরি করেছে। এক্ষেত্রে মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। এভাবে নির্দিষ্ট ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থাকে বৈষম্যমূলক অভিহিত করে বিভিন্ন দল, সংগঠন ও সামাজিক সংস্থার পক্ষ থেকে তীব্র বিরোধিতা করা হচ্ছে।