ইয়াসিন আরাফাত : শনিবার থেকে শুরু চিনা নববর্ষ। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত ২৬ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া করোনা ভাইরাসের কারণে উহানের পাশাপাশি ১৩টি শহরকে বন্ধ ঘোষণা করেছে চীন প্রশাসন। অবস্থার ভয়াবহতা এতটাই যে নববর্ষে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে বিখ্যাত চিনের প্রাচীরের একাংশ। এছাড়াও বন্ধ রাখা হয়েছে বেজিংয়ের বার্ডস নেস্ট স্টেডিয়াম, মিং রাজবংশের সমাধি, ইনশান প্যাগোডা এবং সাংহাইয়ের ডিজনিল্যান্ডও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম ঘেবরেইয়েসুস অবশ্য বলেছেন, চীনের অবস্থা নিশ্চিত ভাবেই খারাপ। তবে পরিস্থিতি এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্যের পক্ষে জরুরি অবস্থা হয়ে ওঠেনি। উহানের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, সেখানে মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বেজিংয়ের সরকারি সূত্রে মাত্র ৮০০ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করা হলেও বাস্তব ছবিটা হলো, এত লোক হাসপাতালে ভিড় করছেন যে, তাদের চিকিৎসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। শুক্রবার চীনের সরকার নির্দেশ জারি করেছে, জ্বরে আক্রান্ত কোনও রোগীকে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেয়া যাবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২৫,০০০ বর্গমিটার এলাকার উপর ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল বানাচ্ছে চীন। দশ দিনের মধ্যেই তা তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, উহান শহরের সি-ফুড ও মাছ-মাংসের বাজার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। এই বাজারে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণীর মাংস বেআইনি ভাবে বিক্রি হত। একটি সূত্রের দাবি, হুবেই প্রদেশের বাসিন্দাদের অনেকেই যেহেতু চীনা কালাচ এবং চীনা গোখরার মাংস খান, সেখান থেকেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে থাকতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :