সুজিৎ নন্দী : গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ভবন ভাঙ্গার দায়িত্ব নিয়ে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ যে প্রক্রিয়ায় করতে চেয়েছিল, তা অনিশ্চিতকাল ধরে চলতে পারতো। ফলে আমরা মনে করি, রাষ্ট্রের দুটি টাকা বড় কথা নয়। বড় কথা এই জায়গাটিকে পরিষ্কার করা।
রেজাউল করিম বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার একজন সদস্য। এটা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত। তার বক্তব্য, কোনও অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। আমরা তার হয়েই কাজ করছি।
আজ বুধবার সাড়ে ১২টায় বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার কাজ উদ্বোধন শেষে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এ কথা বলেন। পরিবেশবিদদের দাবি ছিল ভবনটি যেন বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষই ভাঙে। এখন সরকার ভাঙ্গছে একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারো টাকা বাঁচানোর জন্য শেখ হাসিনা সরকারের কোনও আগ্রহ নেই।
বরং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা কোন সমস্যা ছাড়া ব্যবসা করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে এই ভবন ভাঙ্গার বহু আগে প্রস্ততি থাকার পর বিজিএমইএ-কে তাদের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, কোনোভাবেই যাতে র্যাংগস্ ভবনের মতো প্রাণহানি না ঘটে, পরিবেশ বিপন্ন না হয়, সেজন্য সব প্রস্থতি আমরা রেখেছি। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় কোনও উপায়ে ভবনটি ভেঙে ফেলা যায় কিনা। কিন্তু বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ও ভেবেচিন্তে দেখা গেলো, এই ভবনের পাশে ফাইভ স্টার হোটেলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আছে।
ওভাবে ভবন অপসারণ করতে গেলে তার যে গতিবেগ বা শক্তি তা চারদিকে থাকা ভবনগুলোকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। ধুলো বাতাসে ছড়িয়ে পরিবেশও নষ্ট হতে পারে। সেজন্য আমরা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভাঙার প্রস্থতি নিয়েছি। সম্পাদনা: রাকিবুল
আপনার মতামত লিখুন :