রাশিদ রিয়াজ : ২০০৮ সালে অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোসের সঙ্গে মোবাইলে বার্তা আদান প্রদান হয় সৌদি যুবরাজ সালমানের। অ্যামাজন কর্তাকে সালমানের ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে পাঠানো ওই ভিডিও বার্তায় লুকিয়ে ছিল ‘হ্যাকিং টুল’ বা ফোন থেকে তথ্য চুরি করার প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে চুরি হয় বেজোসের মোবাইলের বেশ কিছু তথ্য।
ডিজিটাল ফরেন্সিক অ্যানালাইজ নামে সংস্থটির এমন ধরনের দাবিতে আন্তর্জাতিক তদন্তের পর সন্দেহ করা হয়েছে, বেজোসের বান্ধবীর সঙ্গে ব্যক্তিগত মেসেজের তথ্যও চুরি হয়েছে। যদিও অ্যামাজনের ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি হ্যাক হয়েছে কিনা তা এখন নিশ্চিত নয়। ডেইলি মেইল/সান/মিরর
সৌদি ‘সিক্রেট সার্ভিসের উপর তাঁর দখল অনেকটাই। ফলে আমাজনের সিইও-র মোবাইল হ্যাকিংয়ে সৌদি গোয়েন্দাদের হাত থাকতে পারে বলে অনেকের সন্দেহ। এর আগে, সাংবাদিক জামাল খাশোগজির হত্যায় হুকুমদাতা হিসেবে নাম জড়িয়েছিল সৌদি যুবরাজের। অব্যশ সৌদির অভ্যন্তরীণ তদন্তে কোথায় সালমানের নাম ছিল না।
গত বছরই স্ত্রী ম্যাকেনজির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় বেজোসের। এরপরই মার্কিন সাংবাদিক লরেন সানচেজের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান তিনি। পাশাপাশি তার ফোন হ্যাকের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে সৌদি প্রশাসন। বলা হচ্ছে, অভিযোগ ভিত্তিহীন। অভিযোগ পশ্চিমা মিডিয়ায় খোলামেলা প্রকাশ হচ্ছে। মুখ খুলছে না তদন্তকারী সংস্থা।