ম ইনামুল হক : ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচন ও ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮-এর ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে অধিষ্ঠিত আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রের সংবিধান পরিবর্তন করে চিরকাল ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা করেছে। গণতন্ত্রের এই ভরাডুবির বিরুদ্ধে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো প্রতিরোধ নেই। বরং তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর সুবিধা ও উচ্ছিষ্ট ভোগ করছে। আমরা সর্বজন বিপ্লবী দল থেকে এর অবসানের লক্ষ্যে আমরা আজ হরতাল দিয়েছি। বাংলাদেশে এযাবৎ হরতাল বলতে গাড়ি ভাংচুর, আগুন লাগানো, পুলিশের সঙ্গে মারামারি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং হত্যা, মামলা ইত্যাদির অরাজকতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা বুঝাতো। আমরা দায়িত্বশীল রাজনীতি করি।
আমরা এসব নয় বরং জনগণের স্বতস্ফুর্ত সমর্থন কামনা করি। তবে অতীতের প্রতারণাপূর্ণ রাজনীতির ধারক দলগুলো আমাদের রাস্তায় বেরিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করতে উস্কানি দিয়ে গেছে। আমরা তা করিনি। ফলে আমাদের হরতালে আমরা জনজীবন ও অর্থনীতির ক্ষতি করিনি, পুলিশ ও হেলমেট বাহিনীর আক্রমণের শিকার হইনি। আমাদের হরতালের ব্যাপারে সংবাদ প্রেরণ করা সত্ত্বেও সরকারি নির্দেশে পত্রিকাগুলো সংবাদ প্রকাশ করেনি, টেলিভিশন মিডিয়া প্রচার করেনি। আমাদের হরতালের প্রতি ডান, কী বাম বিদ্যমান কোনো রাজনৈতিক দল সমর্থন দেয়নি। তারা নিজেরাও হরতাল ডাকেনি। প্রতীয়মান হয় যে, তারা এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিব্রত করতে চায় না। এভাবে তারা আওয়ামী সরকারের সকল অপকর্মকে মৌন সমর্থন দিয়ে চলছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী ও তাদের অনুসারীরা যে মেরুদ-হীন, কথাসর্বস্ব তা স্পষ্ট হয়েছে। এই সময়ে এই রকম স্পষ্টকরণের প্রয়োজন ছিলো। লেখক : আহবায়ক, সর্বজন বিপ্লবী দল। ফেসবুক থেকে