ইয়াসিন আরাফাত : রোববার এক টুইট বার্তায় ইমরান খান বলেন, ভারতীয় সেনা নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে দিনের পর দিন হামলা চালাচ্ছে। ওই হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হামলার মাত্রা ক্রমে বেড়েই চলেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উচিত এ নিয়ে ভারতকে সতর্ক করা। নিয়ন্ত্রণরেখার অন্যদিকে তারা যাতে হামলা না চালায় তা নিয়ে ভারতকে সতর্ক করা উচিত। এসময় তিনি ভারতের প্রতি আহ্বান জানান যাতে ইউনাইটেড নেশান্স মিলিটারি অবজার্ভার গ্রæপ ইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তানকে (ইউএনইমওজিআইপি) ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়। জিও নিউজ
টুইটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে সতর্ক করে বলেন, ভারত যদি নিয়ন্ত্রণ রেখার এপারে সামরিক হামলা ও বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা অব্যাহত রাখে, তাহলে সেক্ষেত্রে নিরব দর্শক হয়ে থাকাটা পাকিস্তানের জন্য খুবই কঠিন হবে। তার দাবি, নয়াদিল্লী হয়তো ‘ফলস ফ্ল্যাগ অভিযান’ চালাতে পারে, কারণ ভারতীয় বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা ও হত্যা অব্যাহত রেখেছে, যেটার মাত্রা ও তীব্রতা এখন আরও বেড়েছে।
ইমরান খান আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে বাণিজ্যিক স্বার্থ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের বিশাল বাজার হাতছাড়া করতে চায় না বলেই কাশ্মীরের ৮০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে কী ঘটছে, ভারতের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কী ঘটছে, সে ব্যাপারে নিশ্চুপ পশ্চিমা দেশগুলো।
ইমরানের বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমি বলেছিলাম, ভারত এক পা এগোলে, আমরা ২ পা এগোতে প্রস্তুত। কিন্তু তারপরই জানতে পারলাম আরএসএস মতাদর্শের কারণে ভারত সেই প্রস্তাব গ্রহণ করছে না। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম