আসিফুজ্জামান পৃথিল : গত ১৫ আগস্ট লালকেল্লা থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, প্রত্যেকের উচিত পরিবারকে ছোট রাখা। মোদী তার বক্তৃতায় বিশেষ কোনও সম্প্রদায়ের দিকে আঙুল তোলেননি। কিন্তু বলেছিলেন, সমাজের একটি অংশই শুধু পরিবারের জন্ম সংখ্যা কম রাখছে। আনন্দবাজার
তবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ-আরএসএস জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার জন্য সরাসরি মুসলিমদের দায়ী করছে। আরএসএসের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১৯৫১ থেকে ২০১১ ভারতের মোট জনসংখ্যায় মুসলিমদের হার ৯.৮ শতাংশ থেকে ১৪.২৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
কিন্তু আদমশুমারির হিসাব বলছে, ২০০১-র তুলনায় ২০১১-তে মুসলিমদের সংখ্যা ২৪.৬ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে তার আগের দশকে, অর্থাৎ ১৯৯১-র তুলনায় ২০০১-তে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ২৯.৫ শতাংশ। তারও আগের দশকগুলিকে এই হার ৩০ শতাংশের বেশি ছিলো।
সঙ্ঘ পরিবারের নেতাদের আশঙ্কা, ভারতে হিন্দুরা একসময় সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন। আরএসএসের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১৯৫১-য় মুসলিম ছাড়া বাকি ধর্মের মানুষেরা ছিলেন জনসংখ্যার ৮৮ শতাংশ। ২০১১-য় তা ৮৩.৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
ভারতের জনগণনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষার হার, আয় বাড়লেই পরিবার পরিকল্পনার প্রভাব দেখা যায়। পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের ভূমিকা বেড়ে যায়। মুসলিমদের পুরুষ-নারীর অনুপাতও বেড়েছে। ২০০১-এ প্রতি হাজার জন মুসলিম পুরুষে নারীর সংখ্যা ৯৩৬ ছিল। ২০১১-য় তা বেড়ে ৯৫১ হয়েছে। হিন্দু-খ্রিস্টানদের মতো মুসলিমদের মধ্যেও শিক্ষার হার বেড়ে যাওয়ায় জন্মের হার কমতে শুরু করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :