আসিফুজ্জামান পৃথিল : শনিবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নতুন এই পদ্ধতির শিকার হন মূলত নারী বিক্ষোভকারীরা। শুধু কম্বল নয়, কেড়ে নেয়া হয় খাবার ও থালা বাসনও। এনডিটিভি, আনন্দবাজার
ভারতের সিএএ এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির -এনআরসি বিরোধিতায় পাঁচ শতাধিক নারী গত একমাস ধরে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। তাঁদের অনসরন করে শুক্রবার থেকে ঘণ্টাঘরের কাছে জড়ো হয়েছিলেন লক্ষৌয়ের বেশ কিছু নারী। ছিলো শিশুরাও। প্রচণ্ড শীত থেকে বাঁচতে কম্বল নিয়ে বসেছিলেন তারা।
কিন্তু সন্ধ্যার পরপরই সেখানে হাজির হয় পুলিশের একটি দল। লেপ-কম্বল কেড়ে নিতে শুরু করে তারা। খাবার এবং থালা-বাসনও বাজেয়াপ্ত করা হয়।
পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে ইতোমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে । সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে কম্বল চোর’ বলে কেউ কেউ। আবার কটাক্ষও করেছেন । একজন লিখেছেন, ‘প্রভুরা ওই কম্বল মুড়ি দিয়ে ঠিকঠাক ঘুমিয়েছেন তো?’ কোন আইনে বিক্ষোভকারীদের কম্বল কেড়ে নেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশএক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ঘণ্টাঘরের কাছে বেআইনি বিক্ষোভ চলছিলো। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও তাঁবু খাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছিলো। একটা দল কম্বল বিলি করছিলো। যারা বিক্ষোভে অংশ নেননি, তারাও কম্বল নিতে এসেছিলেন। সেখান থেকে ভিড় সরাতেই আমাদের নামতে হয়। আর তা করতে গিয়েই নিয়ম মেনে কম্বল বাজেয়াপ্ত করা হয়।’
আপনার মতামত লিখুন :