রাশিদ রিয়াজ : ২০১৫ সালের একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শুনানিতেগুজরাটের একটি নিম্নবর্তী আদালতে হাজিরা দেননি ভারতের পতিদার আন্দোলনের এই নেতা। যে কারণে শনিবারই তাঁর বিরুদ্ধে জমিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হার্দিককে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার রাতে গুজরাটের অহমদাবাদ জেলার ভিরামগাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গুজরাট কংগ্রেসের এই নেতাকে গ্রেফতারের খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন আহমেদাবাদ পুলিশের ডিসিপি (সাইবার ক্রাইম) রাজদীপ সিং জালা। তিনি বলেন, 'হার্দিকের বিরুদ্ধে আদালত জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। এর পরে আমরা তাঁকে গ্রেফতার করি। আগামিকাল হার্দিক প্যাটেলকে আদালতে পেশ করা হবে।'
দেশদ্রোহীতার অভিযোগে এর আগেও জেলে যেতে হয়েছে হার্দিক প্যাটেলকে। ২০১৫ সালের ২৫ অগস্ট অহমদাবাদে প্যাটেল সম্প্রদায়ের একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। হার্দিক এই বিক্ষোভ আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে হিংসা বাধানো ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের দায়ের রাষ্ট্রদ্রোহর অভিযোগ দায়ের করেছিল স্থানীয় পুলিশের অপরাধ দমন শাখা।
দেশদ্রোহিতার এই মামলায় হার্দিক প্যাটেলকে এর আগে একবার গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে তিনি জামিন পান। ২০১৮ সালের নভেম্বরে এই মামলায় হার্দিক-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত হয়।
শনিবার হার্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বিজি গন্ত্র। এ দিন মামলার শুনানির সময় তাঁর মক্কেলকে নির্দোষ বলে দাবি করেন হার্দিকের আইনজীবী। যে কারণে তাঁকে মামলা থেকে অব্যহত দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। সব দিক বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত হার্দিকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।
আপনার মতামত লিখুন :