শিরোনাম
◈ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মহা কাপুরুষ: ভেনেজুয়েলা প্রেসিডেন্ট  ◈ প্রিমিয়ার লিগ চ‌্যা‌ম্পিয়ন হওয়ায় মোহামেডানকে অভিনন্দন জানিয়ে ফিফা সভাপতির চিঠি ◈ ‌বি‌সি‌বিতে সভাপ‌তি হ‌য়ে আস‌ছেন  আ‌মিনুল ইসলাম বুলবুল! ◈ বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে : নিক্কেই ফোরামে প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে: সেনাপ্রধান ◈ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য: টানাপড়েনের মধ্যেও বহমান আন্তঃনির্ভরতা ◈ পলাতক আ.লীগের নেতাদের জমি বিক্রির হিড়িক: টাকা পাচার হচ্ছে দুবাই, কানাডা, ইউরোপে! ◈ সরকারের নতুন আয়কর প্রস্তাব: নতুনদের জন্য ছাড়, উচ্চ আয়ের জন্য কর হার বাড়ছে ◈ আমাদের সমুদ্র সোনার খনি:‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ◈ এ এক অন্য রকম আয়নাবাজী: ১২ বছর ধরে অন্যের নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি, অবশেষে ফাঁস হলো প্রতারণা

প্রকাশিত : ১৮ জানুয়ারী, ২০২০, ১০:৪৯ দুপুর
আপডেট : ১৮ জানুয়ারী, ২০২০, ১০:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শয়তানের প্রধান ১০টি কাজ

নিউজ ডেস্ক : পবিত্র কোরআনে ‘শয়তান’ (এক বচন) শব্দটি ৬৩ বার আর ‘শায়াতিন’ (বহু বচন) শব্দটি ১৮ বার উল্লেখ করা হয়েছে। পৃথিবীতে শয়তান মুমিনের প্রধান শত্রু। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কোরো না; সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৮) অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কোরো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২০৮) কালের কন্ঠ

১. প্ররোচনা দেওয়া : শয়তান আদম ও হাওয়া (আ.)-কে প্ররোচনা, প্রলোভন দেখিয়ে নিষিদ্ধ গাছের ফল খেতে উদ্বুদ্ধ করে। আল্লাহ ইরশাদ করেন, শয়তান উভয়কে প্ররোচিত করল, যাতে তাদের অঙ্গ, যা তাদের কাছে গোপন ছিল, তাদের সামনে প্রকাশ করে দেয়। সে বলল, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের এ গাছ থেকে নিষেধ করেননি, তবে তা এ কারণে যে, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও কিংবা হয়ে যাও এখানে চিরকাল বসবাসকারী। সে তাদের কাছে কসম খেয়ে বলল, আমি অবশ্যই তোমাদের হিতাকাঙ্খী।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ২১-২১)

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রণা দিল। বলল, হে আদম! আমি কি তোমাকে বলে দেবো অনন্তকাল জীবিত থাকার গাছের কথা এবং অবিনশ্বর রাজত্বের কথা?’ (সুরা ত্বহা, আয়াত : ১২০)

২. পথভ্রষ্ট করা : মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস ও প্রবঞ্চনা দ্বারা পথভ্রষ্ট করা এবং আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত করা শয়তানের অন্যতম কাজ। আল্লাহ বলেন, ‘আমি অবশ্যই তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, মিথ্যা আশ্বাস দেব, তাদের নির্দেশ দেব, যার ফলে তারা পশুর কর্ণ ছেদ করবে এবং তাদের নির্দেশ দেব ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১১৯)

৩. ধোঁকা দেওয়া : ধোঁকা দেওয়া শয়তানের অন্যতম কৌশল। শয়তান আদম ও হাওয়া (আ)-কে ধোঁকা দিয়ে বলল, মানুষের পরিণাম হলো মৃত্যু, তবে এ গাছের ফল যে খাবে সে চিরজীবী হবে। আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর শয়তান এ ব্যাপারে তাদের পদস্খলন ঘটাল এবং তারা যেখানে ছিল সেখান থেকে তাদেরকে নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার প্ররোচনা দ্বারা বহিষ্কৃত করল।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ৩৬)

৪. মন্দ ও অশ্লীল কাজের নির্দেশ : শয়তান মানুষের সামনে অশ্লীল ও খারাপ জিনিসকে আকর্ষণীয় ও উত্তম হিসেবে পেশ করে। আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই সে (শয়তান) তোমাদের মন্দ ও অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেয়। তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে এমন কথা বলো যা তোমরা জানো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৯)

৫. নিজেদের দলভুক্ত করার প্রচেষ্টা : শয়তান মানুষকে বশীভূত করে নিজেদের দলভুক্ত করে নেয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘শয়তান তাদের বশীভূত করে নিয়েছে। অতঃপর আল্লাহর স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। সাবধান, শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা মুজাদালা, আয়াত : ১৯)

৬. সরল পথ থেকে বিমুখ করা : শয়তান মানুষকে সহজ-সরল ও সঠিক পথ থেকে বিমুখ করতে পারে। আল্লাহ বলেন, ‘শয়তান বলল, আপনি আমাকে যেমন উদ্ভ্রান্ত করেছেন, আমিও অবশ্য তাদের জন্য আপনার সরল পথে বসে থাকব। অতঃপর তাদের কাছে আসব তাদের সামনের দিক থেকে, পেছন দিক থেকে, ডান দিক থেকে এবং বাম দিক থেকে। আপনি তাদের বেশির ভাগকে কৃতজ্ঞ পাবেন না।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৬-১৭)

৭. মানবের শিরা-উপশিরায় বিচরণ : শয়তান আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আদম সন্তানের শিরা-উপশিরায় বিচরণ ও চলাফেরা করে আদম সন্তানকে পথহারা করে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘অবশ্যই শয়তান মানুষের শিরা-উপশিরায় বিচরণ করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১২৮৮)

৮. পাপকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তোলা : পথভ্রষ্ট করতে শয়তানের অন্যতম কৌশল হলো, পাপ কাজকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তোলা। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে (ইবলিস) বলল, হে আমার পালনকর্তা, আপনি যেমন আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করব। আপনার মনোনীত বান্দারা ছাড়া (তাদের কোনো ক্ষতি আমি করতে পারব না)।’ (সুরা হিজর, আয়াত : ৩৯-৪০)

৯. ইবাদতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা : শয়তান মুমিনের ইবাদতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে ইবাদত নষ্ট করে দেয়, যাতে সে পুণ্য থেকে বঞ্চিত হয় এবং আল্লাহ থেকে দূরে সরে যায়। উসমান ইবনে আবুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘তিনি বলেন, আমি একবার রাসুল (সা.)-এর কাছে আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! শয়তান আমার মধ্যে ও আমার নামাজ ও কিরাতের মধ্যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। তাতে জটিলতা সৃষ্টি করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি যখন তার উপস্থিতি অনুভব করবে, তখন তার কুমন্ত্রণা হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং তোমার বাম দিকে তিনবার থু থু ফেলবে।’ (সহিহ মুসলিম)

১০. প্রভাব বিস্তার করা : শয়তান আদম সন্তানের ওপর স্বীয় প্রভাব বিস্তার করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আদম সন্তানের ওপর শয়তানের একটি প্রভাব রয়েছে। অনুরূপ ফেরেশতারও একটি প্রভাব রয়েছে। শয়তানের প্রভাব হলো, অকল্যাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং সত্যকে মিথ্যায় প্রতিপন্ন করা। আর ফেরেশতার প্রভাব হলো, কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া এবং সত্যের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করা। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা.) আয়াতটি পাঠ করে, ‘শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় এবং অশ্লীলতার নির্দেশ দেয়।’ (সুনানে তিরমিজি) অনুলিখন: জেবা আফরোজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়