মাসুদ আলম: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের সহায়তার মামলা করায় সেদিকের কোনো আত্মীয় তার খোঁজ নিচ্ছে না। অপরদিকে মা-বাবার বিচ্ছেদের পর প্রবাসে যাওয়া মার সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ নেই কিশোরীর। এই বিপদে চিকিৎসক, পুলিশ ও বাড়িওয়ালার স্বজনরাই তার পাশে রয়েছেন। মামলার বাদী নিয়মিত তার খোঁজ নিচ্ছেন।
ঢাকায় এক ফুফু থাকলেও বাবার বিরুদ্ধে মামলা করায় কিশোরীর ওপর ক্ষেপেছেন তিনি। হাসপাতালে তাকে একবারও দেখতে আসেননি। ওই ফুফুর সঙ্গে কিশোরীর ছোট ভাই থাকেন। চিকিৎসা শেষে ওই কিশোরী কোথায় যাবে সেটিও তার অজানা।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ওই কিশোরী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ট্রমায় থাকা ওই কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) কাউন্সিলিং চলছে। তবে অবস্থা উন্নতির দিকে।
কামরাঙ্গীরচর থানার মামলায় ধর্ষক মুরগি ব্যবসায়ী আবুল হোসেন এবং কিশোরীর বাবা লিটন কারাগারে রয়েছে। শুক্রবার আবুল ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার বাদী জানান, কিশোরীর আত্মীয় স্বজন কেউ তার খোঁজ নেয়না। মামলার বাদীর মামার বাড়িতে দুই মাস ধরে ভাড়া থাকছে কিশোরী ও তার বাবা। তার স্ত্রীকে কিশোরী আন্টি বলে ডাকতো। তাকেই এই নির্যাতনের বিষয়টি বলেছে। শুনে খুব খারাপ লাগায় মেয়েটিকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেন তিনি।
কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ব্যবসা করেন আবুল হোসেন। তার দোকানে চাকরি করতো ওই কিশোরীর বাবা লিটন,পাশাপাশি ভ্যান চালাতো। আবুলের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা ধার নেয় ওই কিশোরীর বাবা। টাকা শোধ না করতে পারায় মেয়েকে তার হাতে তুলে দেয়। আবুল মেয়েটিকে গত একবছরে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।
গত ১১ জানুয়ারি ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হলে এক প্রতিবেশী নারীকে ঘটনাটি জানায়। ওই প্রতিবেশী ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে মঙ্গলবার রাতে কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং লিটনকে গ্রেপ্তার করে।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে দ্রæত মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। সম্পাদনা:জেরিন