শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ১৮ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:২৩ দুপুর
আপডেট : ১৮ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:২৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলতি এবং আগামী বছর দেশে ভূমিধস, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে

ওয়ালি উল্লাহ: এ সময়ের মধ্যে ওইসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ বছরে ৩ থেকে ১৫ বার আঘাত হানাতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় দেশের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের গবেষণা প্রতিবেদনে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে মৌসুমি জলবায়ুর ব্যাপক প্রভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যায়। পরিসংখ্যান ব্যুরো উপকূলীয় অঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের জীবনযাত্রা ঝুঁকিপ্রবণ হয়ে ওঠার পেছনে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিক্ষয়, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা ও অতিবৃষ্টি মতো কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে।

জানা যায়, ১৮৯১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১’শ বছরে ছোটবড় প্রায় ৭’শটি ঘূর্ণিঝড় দেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে। আর ১৭৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি করেছে এমন ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা ৪৫টি। এসব ঘটনা থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের মাত্রা বৃদ্ধির প্রমাণ পাওয়া যায়।

এদিকে, ইউএনডিপির ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো উন্নয়নের জন্য চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৮০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে বিশে^ ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছে আড়াই লাখ মানুষ, যার ৬০ শতাংশই বাংলাদেশের। এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, গ্লোবাল উষ্ণায়নের কারণে দিন দিন বায়ুমণ্ডলের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাই ঋতুর স্বাভাবিকতা থাকছে না। তারই প্রভাবে দেশে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি, অতিরিক্ত তাপপ্রবাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। তার মতে, শীতকালে আগে টানা কুয়াশা পড়লেও তা পরিবর্তিত হয়ে এখন কমে গেছে। পরিবর্তন এসেছে তাপপ্রবাহে। এসব কারণেই এ বছরেও দেশে ভূমিধস, তীব্র ঘূর্ণিঝড় ও অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির কৃষি, পরিবেশ এবং উন্নয়ন অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়েস জে চেন তার গবেষণা প্রতিবেদনে জানান, ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের নিয়মিত শিকার হবে বাংলাদেশ। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যের জটিল সম্পর্কের ওপর গবেষণা করছেন। বাংলাদেশ বিষয়ে তার মতামত নিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনেও এমন তথ্য তুলে ধরা হয়।
জে চেনের মতে, জলোচ্ছ্বাস বাংলাদেশে প্রতি দশকে একবার আঘাত হানছে। কিন্তু ২১০০ সালের মধ্যে তা প্রতি বছর ৩ থেকে ১৫ বার আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশে দুই ধরনের অভিবাসন দেখা যায়। কেউ ভালো সুযোগের আশায় শহরমুখী হন আবার কেউ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়ি ছাড়েন। নিচু এলাকা হিসেবে বাংলাদেশ সবসময়ই সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিবর্তনজনিত কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে। সূত্র : নয়াদিগন্ত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়