মাজহারুল ইসলাম : আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই সফরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অভিবাসন, রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনায় আগ্রহী বাংলাদেশ। আর সামরিক সহযোগিতা ও জ্বালানি খাতকে আলোচনায় প্রাধান্য দিতে আগ্রহী ইতালি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ফরেন অফিস কনসালটেশন, উভয় দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি নিয়ে সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। তৃতীয় দফায় সরকার গঠনের পর ইউরোপে এটাই শেখ হাসিনার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ইউরোপ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বিভিন্ন কারণে ইউরোপের মধ্যে ইতালি গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর লন্ডন সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইউরোপে কর্মরত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ইতোমধ্যে ২০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ১৬০ কোটি ডলারেরও বেশি। তা ছাড়া দুই দেশের জন্যই অভিবাসন বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
ইতালির হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার বাংলাদেশি সেখানে অবস্থান করছেন। আগে ইতালিতে বৈধ পথে কৃষি শ্রমিক পাঠানোর একটি চুক্তি ছিলো। ওই চুক্তির অধীনে প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি সেখানে যান। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত এসেছে ১’শ জনেরও কম। ২০১২ সালে তাই ওই চুক্তিটি বাতিল করে দেয় রোম। সূত্র : সমকাল